Maharashtra Famous Places: মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের পাঁচ অন্যতম ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ...

Sat, 07 Dec 2024-1:58 pm,

কিন্ত ক্রমাগতভাবে  ব্যবসায় পরিনত হচ্ছে  মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদ। মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের পাঁচ অন্যতম  ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তমগুলি হল, বিবি কা মাকবারা, ইলোরা গুহা, অজন্তা গুহা, দৌলতাবাদ দূ্র্গ, জামে মসজিদ।

 বিবি কা মাকবারা, ঔরঙ্গাবাদের অন্যতম  ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ যা দাক্ষিণাত্যের তাজ হিসাবে পরিচিত। ১৬০৬ সালে মুঘল সম্রাট  ঔরঙ্গজেবের পুত্র যুবরাজ আজম সাহ তাঁর মা দিলরাস বানু বেগমের স্মরনে  এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এটির প্রধান প্রবেশদ্বারে পাওয়া একটি শিলালিপিতে উল্লেখ করা আছে এই সমিধি নির্মানে যুক্ত কর্মীদের নাম। 

ইলোরা গুহা, যা ঔরঙ্গাবাদ থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে  অবস্থিত। ৩৪ টি মঠ ও মন্দির রয়েছে যা এখানে  ব্যাসাল্ট পাথরে খোদাই করা হয়েছে।  এখানে সবচেয়ে বিখ্য়াত মন্দির হল কৈলাশ মন্দির এটি ইলোরার মুকুট রত্ন যা ভগবান  শিবকে উৎসর্গ করা হয়েছে। এবং অনান্য গুহাগুলী তাদের স্থাপত্য দক্ষতা এবং শৈল্পিক বিবরনের মাধ্যমে বৌদ্ধ দেবতাদের উপস্থানা রয়েছে। 

 অজন্তা গুহা, এটি বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য যা ভারতের মহারাষ্ট্র  রাজ্যের অন্তর্গত ঔরঙ্গাবাদ থেকে ৫৫ মাইল দূরে অবস্থিত। অজন্তা গুহাগুলি হল ৩০টি বৌদ্ধ শিলা-কাটা গুহাগুলির একটি সংগ্রহ। এই গুহাগুলি তাদের ভাস্কর্যগুলির জন্য বিখ্যাত, যা বুদ্ধের জীবন এবং তার পূর্ববর্তী জীবনকে চিত্রিত করে। পাশাপশি তারা সেই সময়ের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় জীবনের অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে একটি অসাধারণ সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তুলেছে।

 

দৌলতাবাদ দূ্র্গ, ভারতের মহারাষ্ট্রে অবস্থিত এই দূর্গটি দেবগিরি বা দেওগিরি নামেও পরিচিত যার অর্থ দেবতার পাহাড়।  এটি নির্মাণ করেছিলেন যাদব রাজা  ভিল্লামা পঞ্চম। এটি প্রায় 200 মিটার উঁচু একটি পাহাড়ের উপর দাঁড়িয়ে আছে। এই দূ্র্গটির শীর্ষস্থান থেকে পুরো শহরটির এক অপূর্ব দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়,  যা দেখার জন্য আপনাকে প্রায় ৭৫০টি সিঁড়ি পাব় করতে হবে। ঔরঙ্গাবাদের নাম পরিবর্তনের পর মহারাষ্ট্র সরকার এখন দৌলতাবাদ ফোর্টের নাম পরিবর্তন করে দেবগিরি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

 

জামা মসজিদ, এই জামা শব্দটির অর্থ হল একত্রিত হওয়া বা সমাবেত হওয়া। ১৬১২ সালে মালিক আম্বর দ্বারা মুঘল আমলে এটি নির্মিত হয়, এটি অত্যন্ত সাধারণ অথচ মনোমুগ্ধকর নকশার মাধ্যমে মুঘল যুগের স্থাপত্যের মহিমা প্রদর্শন করে চলেছে। ঔরাঙ্গজেব পরবর্তীতে  ১৬৯২ খ্রিস্টাব্দে  মসজিদের সামনের অংশে চারটি খিলান নির্মাণ করে মসজিদটির সম্প্রসারণ করেন। মসজিদটি উপাসনার একটি সক্রিয় স্থান এবং মসজিদের সুন্দর সাদা রঙের কাঠামো যা ভিন্ন সম্প্রদায়কেও আকর্ষিত করে।

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link