Malda Pakchoi Farming: দেশি পদ্ধতিতেই ফলছে বিদেশি শাক! চিনা পালং `পকচই` চাষে মোটা টাকা লাভ...
রণজয় সিংহ: পরীক্ষামূলকভাবে চিন দেশের সবজি ‘পকচই’ চাষ শুরু করেছিলেন মনতোষ রাজবংশী। বাংলার সবজি পালং শাকের সঙ্গে সবাই পরিচিত। চিনের অনেকটা সেই পালং শাকের মতো সবজি 'পকচই'। মালদায় প্রথম চিনের এই ‘পকচই’ চাষ করে ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন মনতোষ রাজবংশী।
বাজারে ব্যাপক চাহিদা। তাই এই বছর থেকে বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করেছেন তিনি।। 'পকচই' মূলত শীতকালীন সবজি। এই দেশের শীতের সবজি চাষের পদ্ধতিতেই বিদেশি এই শাক চাষ করা যায়। পকচই মূলত চিনের সবজি। চিনের পালং শাক বলা যায় এই সবজিকে।
দেখতে অনেকটা পালং শাকের মত। এই সবজি খেতেও অনেকটা পালং শাকের মতো। স্থানীয় পালং শাকের সঙ্গে অনেকটাই মিল চিনের এই 'পকচই' শাকের। বর্তমানে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে এখন এই সবজি চাষ হচ্ছে। ফলে অনেকেই এই সবজি খাচ্ছেন।
মূলত রেস্টুরেন্টগুলিতে এই সবজির ব্যাপক চাহিদা। কারণ বর্তমান রেস্টুরেন্ট গুলিতে দেশীয় খাবারের থেকে বিদেশি খাবারের চাহিদা ব্যাপক। পিজ্জা-বার্গারের মত খাবারের ব্যবহার করা হয় 'পকচই'। এই বাজার ধরতেই পুরাতন মালদার কৃষক মনোতোষ রাজবংশী প্রথম ‘পকচই’ চাষ শুরু করেন।
পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম বছর চাষ করে ব্যাপক বিক্রি করেছেন তিনি। তাই বর্তমানে ব্যাণিজিকভাভে চাষ শুরু করেছেন তিনি। পাইকারি মূল্যে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এই ‘পকচই’ শাক। খোলা বাজারে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এই চিনা শাক। অনেকেই নতুন এই শাক টেস্ট করার জন্য কিনে খাচ্ছেন।
ধীরে ধীরে দেশীয় সবজির সঙ্গে বিদেশি এই সমস্ত সবজির চাহিদা বাড়ছে মালদায়। জেলার একাধিক কৃষক এই বাজার ধরতে বিদেশি বিভিন্ন সবজি চাষ শুরু করেছে ইতিমধ্যে। তাঁদের মধ্যেই অন্যতম একজন মনতোষ রাজবংশী। আগামীতে এই সবজির চাষ মালদায় ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি মনে করছেন।
কারণ বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে চিনের এই শাকের। জেলা খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও বাগিচা উদ্যান দফতরের আধিকারিক সামন্ত লায়েক বলেন, এই শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স রয়েছে।