প্রধানমন্ত্রী মুখ মমতা ? বকরি ইদে বাঁচলে তো মহরমে নাচবে: খাড়গে
ব্রিগেডের জনসভায় সনিয়া গান্ধীর বার্তা পড়ে ঐক্যবদ্ধ জোট গঠনের ডাক দিয়েছিলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। তখই প্রশ্ন উঠেছিল, এরাজ্যেও কি তৃণমূলের সঙ্গে জোট করতে ইচ্ছুক প্রদেশ কংগ্রেস? পরে প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে খাড়গে বলেন, ''রাজ্যের জোটের সিদ্ধান্ত নেবেন প্রদেশ নেতারাই''।
ডিসেম্বরে দিল্লিতে বিরোধীদের বৈঠকের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, পশ্চিমবঙ্গে কোনও জোট হচ্ছে না। একাই লড়বে তৃণমূল কংগ্রেস।
ব্রিগেডের বৈঠকে সনিয়া ও রাহুলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের ডাকে সাড়া দিয়ে মল্লিকার্জুনকে পাঠায় হাইকম্যান্ড। ব্রিগেডের সভায় সনিয়ার বার্তা পড়ে শোনান কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা। তার আগের দিন রাহুল গান্ধীও মমতাকে পত্র পাঠান।
হাইকম্যান্ডের এহেন ভূমিকায় বিপাকে পড়ে গিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস। প্রশ্নের মুখে পড়েছে তাদের মমতা বিরোধিতার অবস্থান। এই পরিস্থিতিতে প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে শ্যাম ও কূল দুই-ই রাখলেম মল্লিকার্জুন খাড়গে। জানিয়ে দিলেন,''রাজ্য নেতারাই সিদ্ধান্ত নেবেন। গোটা দেশে আমাদের সবাইকে নিয়ে চলতে রাজি। সে কারণেই সনিয়া গান্ধীর বার্তা পড়েছি''।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি মহাজোটের প্রধানমন্ত্রী মুখ? সাংবাদিকদের এহেন প্রশ্নে মল্লিকার্জুনের জবাব, আমাদের ওখানে একটা প্রবাদ আছে, বকরি ইদ মে বচেঙ্গে তো মহরম মে নাচেঙ্গে। বকরি ইদে বকরি বাঁচলে তো মহরমে নাচবে! আগে আরএসএস-বিজেপিকে হারিয়ে মোদীকে সরাতে হবে, তারপর এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মহাজোটে একমঞ্চে সব নেতারা আসলেও প্রধানমন্ত্রীর মুখ নিয়ে সকলের মুখেই কুলুপ। যে স্টালিন চেন্নাইয়ে রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ বলে দাবি করেছিলেন, তিনিও কংগ্রেস সভাপতির নাম মুখে আনেননি।