দিল্লিতে দিনভর কী কী করলেন মমতা?
২০১৯ সালে বিরোধী জোটে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, তা নিয়ে ভাবিত নন তিনি। নয়াদিল্লিতে স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, ২০১৯ সালে দিল্লি থেকে থেকে বিজেপির অপসারণই তাঁর অগ্রাধিকার।
অবিজেপি জোট গঠনে বছর দুয়েক আগে থেকেই তত্পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি তাঁর উদ্যমে আরও গতি এসেছেন। ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। ওই সভায় বিরোধী দলের নেতানেত্রীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।
বুধবারও দিল্লিতে একের পর এক রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেছেন। তার মধ্যে বিজেপির লালকৃষ্ণ আডবাণীর মতো নেতারাও রয়েছেন।
দশ জনপথে সনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা এবং ভবিষ্যতে একসঙ্গে নির্বাচনে লড়াই করার সম্ভাবনা নিয়ে কথা হয়েছে। অসমে নাগরিকপঞ্জীর বিষয়েও আলোচনা করেছি।''
বিজেপির সঙ্গে শিবসেনার সম্পর্ক তলানিতে। ২০১৯ সালে বিজেপির সঙ্গে জোটে লড়াই না করার ঘোষণা করেছেন উদ্ধব ঠাকরে। এদিন তাঁর দলের নেতা সঞ্জয় রাউতের সঙ্গে দেখা করেন মমতা।
উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের সময় অখিলেশ যাদবের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মমতা। এদিন সপা নেতা শিবপাল যাদবের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূল নেত্রী। অখিলেশের অত্যন্ত ঘনিষ্ট এই শিবপাল।
লালুপ্রসাদ যাদবের কন্যা মিসা ভারতীর সঙ্গেও সাক্ষাত্ করেছেন তৃণমূল নেত্রী।
সপা সাংসদ ও অভিনেত্রী জয়া বচ্চনের সঙ্গেও দেখা যায় মমতাকে।
সনিয়া গান্ধীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও রাজ্যসভার সাংসদ আহমেদ পটেল ও রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন তৃণমূল নেত্রী।
বিজেপি নেতা কীর্তি আজাদের সঙ্গেও কথা বলেছেন মমতা।
সংসদে আডবাণীর ঘরে প্রায় ২০ মিনিট থাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ''দীর্ঘদিন ধরে আডবাণীজি-কে চিনি। ওনার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে গিয়েছিলাম। নিতান্ত রাজনৈতিক সৌজন্য''।