বুলবুলের ত্রাণ বণ্টনে দলাদলি নয়, প্রশাসনিক বৈঠকে নির্দেশ মমতার
কাকদ্বীপে ত্রাণ-পুনর্বাসনে প্রশাসনিক বৈঠকের পর বুলবুল বিধ্বস্ত বসিরহাটে ফের প্রশাসনিক বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষয়ক্ষতি মেটাতে বুধবার একাধিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। এদিন আকাশ পথে বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন নেত্রী। সরেজমিনে খতিয়ে দেখলেন পরিস্থিতি। ছবি: কমলিকা সেনগুপ্ত
বুধবার বৈঠকে তিনি বলেন, সবমিলিয়ে মোট ১৫ লক্ষ হেক্টর জমি নষ্ট হয়েছে। ভেঙে গিয়েছে ৫ লক্ষেরও বেশি ঘর-বাড়ি। কাজেই যত শীঘ্র সম্ভব বাড়ি বানিয়ে দেওয়া হবে। পাম্পিং-এর মাধ্যমে চাষের জমির জল বের করার চেষ্টা হবে। বলেন, চাষীদের পাশে রয়েছে রাজ্যসরকার। ছবি: কমলিকা সেনগুপ্ত
বুধবার নেত্রী বলেন, ত্রাণের কাজে রাজনীতির রং নয়। সব মানুষ যেন ত্রাণ পায় সেদিকেই নজর রাখতে হবে। দুর্গতদের কাছে ত্রাণ সামগ্রী দ্রুত পৌঁছনোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ছবি: কমলিকা সেনগুপ্ত
সমীক্ষার রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখনও বহু এলাকায় জল জমে আছে, দুর্ঘটনা এড়াতেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে সেই সমস্ত জায়গায়। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, যে সমস্ত পরিবারের ছেলেমেয়েদের পরীক্ষা রয়েছে তাঁদের ৫ লিটার করে কেরোসিন এবং হ্যারিকেন দেওয়া হবে। বইখাতার ক্ষতি হয়ে থাকলে তাও কিনে দেবে শিক্ষা দফতর। ছবি: কমলিকা সেনগুপ্ত
মোবাইল ক্যাম্প করে চিকিৎসা করা হবে। আসবেন চিকিৎসকরা। দুর্গত এলাকায় শুকনো খাবার, ওষুধ দেওয়া হবে। পাশাপাশি ১২ কেজি করে চাল ও বেবিফুডও বিতরণ করা হবে। ছবি: কমলিকা সেনগুপ্ত
পরিবেশ দফতরকেও এগিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন নেত্রী। জানিয়েছেন, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর কাজ শুরু করেছে। বনদফতরকে নতুন করে ম্যানগ্রোভ গাছ লাগানোর কথাও বলা হয় এদিন। দুর্বল নদীর বাঁধ দ্রুত সারানোর হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধায়। ছবি: কমলিকা সেনগুপ্ত