সিবিআই-কে বাধা দিইনি, ৯ ঘণ্টা জেরা করেছিল রাজ্যস্তরের অফিসার: মমতাকে খোঁচা মোদীর

Sat, 12 Jan 2019-6:41 pm,

রাজ্যের অনুমতি ছাড়া তদন্ত করতে পারবে না সিবিআই। সম্প্রতি সিবিআই-কে দেওয়া 'সাধারণ সম্মতি' প্রত্যাহারের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। দিল্লির রামলীলা ময়দানে বিজেপির মহাধিবেশনে সেই প্রসঙ্গ তুলে বিরোধীদের বিঁধলেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কথায়, অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবাংলা ও ছত্তীসগঢ়ে সিবিআইকে তদন্তে বাধা দেওয়া হয়েছে। সিবিআইয়ের আধিকারিকরা আসতে পারবেন না। কীসের এত ভয়? কী কুকীর্তি করেছেন? 

একইসঙ্গে নরেন্দ্র মোদী মনে করিয়ে দিয়েছেন, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সরকারি এজেন্সি দিয়ে তাঁকে বিব্রত করার চেষ্টা করেছিল তত্কালীন ইউপিএ সরকার। কিন্তু তা সত্ত্বেও তদন্তকারী সংস্থার কাজে তিনি বাধা দেননি বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়,  ''আমি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ১২ বছর ধরে কংগ্রেসের রিমোট কন্ট্রোল নেতা, সরকারি আধিকারিক, তদন্তকারীরা এবং গোটা ব্যবস্থার মাধ্যমে আমাতে ব্যতিব্যস্ত করে গিয়েছে''। 

তিনি বলেন,''২০০৭ সালে কংগ্রেসের বড় নেতা, নিজেকে বিদ্বান ভাবেন, গুজরাটে নির্বাচনী সভায় দাবি করেছিলেন, কয়েক মাসের মধ্যে মোদী জেলে চলে যাবে। বিধানসভায় কংগ্রেসের বিধায়ক টিপ্পনী কেটেছিলেন, জেল সাফসুতরো করে রাখুন, বাকি জীবন তো ওখানেই কাটবে''। 

গত মাসে সোহারাবুদ্দিন ভুয়ো সংঘর্ষ মামলায় অভিযুক্ত ২২জন অভিযুক্তকে মুক্তি দিয়েছে মুম্বইয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত। রায়ের পরই বিজেপি দাবি করে, নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহকে ফাঁসাতে ষড়যন্ত্র করেছিল ইউপিএ সরকার।

সেই প্রসঙ্গ তুলে নরেন্দ্র মোদী বলেন,''অমিত ভাইকে জেলে পুরে দিয়েছিল ওরা। তাও সিবিআই বা অন্য কোনও সংস্থা গুজরাটে ঢুকতে পারবে না, এমন নির্দেশিকা জারি করিনি। এমন কোনও নিয়ম তৈরি করিনি। সততা ও আইনে বিশ্বাস রেখেছি''।

 

বিরোধীদের দেশের বিচারব্যবস্থা ও সাংবিধানিক সংস্থার উপরে ভরসা নেই বলে কটাক্ষ করেন মোদী। তাঁর বক্তব্য, এরা নিজের কুকীর্তি ফাঁস হওয়ার ভয়ে রয়েছে। সিবিআই, পুলিস সুপ্রিম কোর্ট, নির্বাচন কমিশন, সিএজি-কে ভুল প্রতিপন্ন করছে। এই ধরনের লোকেদের হাতে দেশকে ছাড়া যেতে পারে? 

প্রধানমন্ত্রীর কথায়,''আমরা দেশের সংবিধানে ভরসা রাখি। একদিকে ওরা, যারা নিজেদের রাজত্ব বাঁচাতে চাইছে। আর আমরা আম্বেদকরের আদর্শ মেনে চলি''। 

 

কংগ্রেসের উদ্দেশে মোদী বলেন, ''নিজেদের জন্য ব্যবস্থারও বদল করেছে কংগ্রেস। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় জামিন নিয়ে বাইরে রয়েছে কংগ্রেসের প্রথম পরিবার। সবকটি তদন্তকারী সংস্থা নোটিস পাঠিয়েছে। কিন্তু কংগ্রেসের ওই পরিবার এসবকে পাত্তা দেয় না। ওরা মনে করে, আমরা রাজা। নিম্ন আদালতেও হাজিরা দেন না''।

এরপরই পুরনো স্মৃতি তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন,''১০ বছরে বারবার নোটিস পাঠিয়ে বিব্রত করেছে। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন জেলাস্তরের বিশেষ আধিকারিকও জেরা করেছে আমাকে। ৯ ঘণ্টা একটা চেয়ারে বসে সব প্রশ্নের জবাব দিয়েছি''। 

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link