বিধানসভায় `মোহরা` ছবির জনপ্রিয় গানের লাইন মুখ্যমন্ত্রীর গলায়, বাদ দিলেন স্পিকার
সুতপা সেন: সংবিধান দিবসে বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে একটা লাইন সভার কার্যবিবরণী থেকে বাদ দিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপালকে নিশানা করতে গিয়ে ওই মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সংবিধান দিবস উপলক্ষে বিধানসভায় এদিন ভাষণ দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপাল সাম্প্রতিক সংঘাতের রেশ এদিন স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে। রাজ্যপালকে অভ্যর্থনা জানাতে বিধানসভার দরজায় দাঁড়িয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীকে সন্তর্পণে এড়িয়ে গিয়েছেন রাজ্যপাল। তাঁর সঙ্গে কথা বলা তো দূর, তাকানওনি।
এরপর বিধানসভায় নিজের ভাষণেও রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন ধনখড়। বলেন, ''পশ্চিমবঙ্গে কার্যত চ্যালেঞ্জের মুখে কাজ করতে হচ্ছে আমাকে। সাংবিধানিক অধিকারের সঙ্গে সমঝোতা করতে হচ্ছে।''
এরপর স্বাভাবিকভাবেই নিজের ভাষণে নাম না করে রাজ্যপালের উদ্দেশে তোপ দাগেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেন, রাজ্যপাল নিরপেক্ষ নন। মমতা বলেন, ''রাজ্যপাল ভাষণে কাশ্মীর নিয়ে বেশি বললেন। অথচ বাংলা নিয়ে কম। উনি ভোর ৫টা থেকে টুইট করতে থাকেন। ওনার অনুষ্ঠানে যাইনি বলে রাগ।'' (ফাইল ছবি)
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ''এখন তো দেখছি চামচিকে, রাঘববোয়াল সবাই থ্রেট করছে। কখনও এজেন্সির ভয় দেখানো হচ্ছে। কখনও অন্য কিছুর নামে ভয় দেখানো হচ্ছে। কিন্তু দেশে এখনও কিছু সাহসী মানুষ আছেন। কেউ যদি মনে করেন আমি যা বলব তাই করতে হবে সকালে বিকালে থ্রেট করবে, আমি ওই থ্রেটে ভয় পাই না।''
এরপরই নয়ের দশকের হিট ছবি 'মোহরা'র একটি বিখ্যাত গানের কলি উদ্ধৃত করে রাজ্যপালকে খোঁচা দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, তু চিজ বড়ি হ্যায় মস্ত, মস্ত....। ওই লাইনটি সভার কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুর্শিদাবাদে যাওয়ার জন্য রাজ্যের কাছে হেলিকপ্টার চেয়েছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু তা দেওয়া হয়নি। এনিয়ে গোঁসা করেন ধনখড়। সেই প্রসঙ্গে মমতা বলেন, বলেন,''কে, কেন কীজন্য ওনাকে এখানে পাঠিয়েছে, আমরা সবাই তা জানি। হেলিকপ্টার উনি যেদিন চেয়ে ছিলেন, সেদিন এখানে কেন্দ্রীয় দল বুলবুলের ক্ষয়ক্ষতি দেখতে এসেছিল। আমাদের নিজস্ব হেলিকপ্টার নেই। জরুরি অবস্থায় আমরা হেলিকপ্টার ব্যবহার করি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হলে উনি ভালো ব্যবহার করেন।''