গুরুংকে এনে একুশের ভোটে উত্তরে এক চালেই কিস্তিমাত মমতার! বলছে পাটিগণিত
নিজস্ব প্রতিবেদন: পাহাড়ে একুশের ভোটের মুখে বিমল গুরুংয়ের ফিরে আসায় তোলপাড় বঙ্গরাজনীতি। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, মোক্ষম চাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁদের মতে, উত্তরবঙ্গে বিজেপিকে রীতিমতো চেকমেটের মুখে ফেলে দিলেন তৃণমূল নেত্রী। কেন?
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে উত্তরে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্র বলছে, গুরুংয়ের সঙ্গতকে কাজে লাগিয়েই সেবার পাহাড়-তরাইয়ে জয় নিশ্চিত করে বিজেপি।
এবার গুরুংয়ের দলবদলে সেই অ্যাজভান্টেজ কার্যত ছিনিয়ে নিল তৃণমূল। পাহাড়-তরাই মিলিয়ে মোট ১২টি আসনে গুরুংয়ের প্রভাব রয়েছে। গুরুংয়ের প্রত্যাবর্তনে ৭টি আসন কার্যত নিশ্চিত করে ফেলল শাসকশিবির। বাকি ৫টি আসনেও এগিয়ে থাকবে তৃণমূলই।
গতকাল, বুধবার বিমল গুরুং ঘোষণা করেন, এনডিএ ছাড়ছেন। প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা রাখেননি। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় কথার খেলাপ করেন না। বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের সঙ্গে জোটে লড়াই করবেন। গুরুংয়ের এহেন বোধোদয়কে স্বাগত জানিয়েছে তৃণমূল। সূত্রের খবর, ৩ মাস আগে দিল্লিতে গিয়ে গুরুংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। রাজ্যের এক মন্ত্রীর সঙ্গে কথাবার্তা হয়েছে তাঁর। তারপরই সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল নেত্রীর শরণে এলেন গুরুং।
রাজনৈতিক মহল বলছে, এক চালেই কিস্তিমাত করে ফেললেন মমতা! তবে ভোটের মুখে, গুরুংয়ের এই বিশ্বাসভঙ্গের পাল্টা ঘুঁটি সাজাতে কসুর করবে না বিজেপিও। তুঙ্গে জল্পনা, সরগরম রাজ্য রাজনীতি।