খালি তিলক কাটলে হয় না, মোদী-শাহকে সংস্কৃত মন্ত্রপাঠের চ্যালেঞ্জ মমতার
লোকসভা ভোটে রাজ্যে বিজেপির উত্থানের আভাস দিচ্ছে সবকটি জনমত সমীক্ষা। হিন্দুত্বের ধুয়োতেই বিজেপি ভোটে প্রভাব বিস্তার করতে চলেছে, তা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। মঙ্গলবার মারোয়াড়িদের অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে মমতা আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন, বিজেপির হিন্দুত্ব নয়, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলার ধর্মেই বিশ্বাসী তিনি।
ভোটের আগে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের দাবিতে সরব হয়েছিল হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। পুলওয়ামার ঘটনার পর থিতিয়ে গিয়েছে রাম মন্দির ইস্যু। এদিন মমতা কটাক্ষ করেন, একটা রাম মন্দিরও বানাতে পারেনি। মনে করিয়ে দেন, তাঁর জমানায় গঙ্গাসাগর থেকে কালীঘাটের মন্দিরের সংস্কার হয়েছে।
মমতার কথায়,''দক্ষিণেশ্বরের উন্নয়ন হয়েছে। আপনারা স্কাইওয়াক দেখে এসেছেন। আগে লোকে বলত সব সাগর বারবার, গঙ্গাসাগর একবার। এখন এখন বলে গঙ্গাসাগর হর বার। মন্দিরও নতুন হয়ে গিয়েছে। কত সুন্দর কাজ হয়েছে''।
মুখ্যমন্ত্রীর খোঁচা, দেশে বহু মন্দির পড়ে রয়েছে। ওপা একটা রাম মন্দিরও বানাতে পারেনি। খালি নির্বাচনের ইস্যু করেছে।
মমতা বলেন, ''দক্ষিণেশ্বরে কতটা ভাল মন্দির হয়েছে, তারকেশ্বর কতটা ভাল হয়েছে, নলহাটি, বক্রেশ্বর, দীঘা দেখো। মা কালীর মন্দিরে স্কাইওয়াক হচ্ছে। আপনারা ঝুটা''।
মোদী-শাহকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ''বাংলায় এসে আঙুল দেখাচ্ছেন, এখানে মমতাদিদি পুজো করতে দেন না। কখনও পুজো করেন? খালি সিঁদূরের তিলক কাটলে পুজো হয় না। পুজোর মন্ত্রের প্রতিযোগিতা হোক। চলে এসো মোদী-শাহ বাবু। দেখি কে কতটা সংস্কৃত মন্ত্র জানে!''
মমতা আরও বলেন, ''কারও সঙ্গে কথা বললে সিবিআই চলে আসে। আম জনতার অচ্ছে দিন এটাই। ভয় লাগে আপনাদের ঘরে না চলে যায়। সামলে থাকুন। যা দেখেছি, বহু মানুষের মনে ব্যাথা। কখনও সিবিআই, ইডি চলে আসবে বা অন্য কোনও এজেন্সি চলে আসবে''।
দেশে পালাবদলের ইঙ্গিত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, দেশের লোক নেতাকে ভালবাসে। এখন ভয় পায়। দোকানদার ব্যবসায়ী ভয় পায়। এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হওয়া জরুরি। ব্যবসায়ীদের কোনও সমস্যা হবে না। একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করব। আপনাদের উপরে কোনও অত্যাচার হতে দেব না। অনেকে প্রতিশ্রুতি রাখে না। আমরা প্রতিশ্রুতি রাখি।