লকডাউনে হাতছাড়া পরিচারিকার কাজ , চরম সংকটে আয়ের দিশা দেখাচ্ছে ম্যানগ্রোভ নার্সারি
নিজস্ব প্রতিবেদন: কল্পনা সাহানি, মালতি মিস্ত্রি, মহারানি অতিথিরা কলকাতায় বিভিন্ন বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করে সংসার চালাতেন। প্রায় পাঁচমাস ট্রেন বন্ধ। চরম সংকটে কর্মহীনা কল্পনারা মাতলা নদীতে ফল কুড়িয়ে ম্যানগ্রোভের চারা লাগিয়ে ফিরে পেয়েছে নতুন জীবিকার সন্ধান।
আমফান পরবর্তী পর্যায়ে রাজ্য সরকার প্রায় পাঁচ কোটি ম্যানগ্রোভের চারা রোপণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেইমতো গোসাবার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতে বানানো হয়েছে ম্যানগ্রোভের নার্সারি। যে নার্সারিতে কাজ করছেন সুন্দরবনাঞ্চলের মহিলারা। মাতলা নদীতে ম্যানগ্রোভের গাছের দানা কুড়িয়ে ফল সংগ্রহ করে এবং সেটা টবে পুঁতে চারা তৈরি করছে।
নার্সারিতে কাজ করা মহিলারা বলেন, "আমরা কলকাতায় বাবুর বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতাম। এখন লকডাউনের কারণে কেউ আর কাজে যেতে পারছিনা। এই পরিস্থিতিতে সংসার চালানোই মুশকিল। বর্তমানে ম্যানগ্রোভের চাষ করে কিছু রোজগার করছি।"
ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক শ্যামল মন্ডল বলেন, আমফান ও বুলবুলের পরে তিন কোটি ম্যানগ্রোভ গাছের চারা লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। পুরোটাই ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমেই হচ্ছে। যার বেশির ভাগ কাজই করছেন পরিযায়ী শ্রমিক ও পরিচারিকার কাজ করে সেইসব মহিলারা।
বিধায়কের গলায় সুর মিলিয়ে মাতলা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হরেন ঘড়ুই দাবি করেন, "আমরা ম্যানগ্রোভ চারা তৈরি এবং সেগুলো বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে বসিয়ে মহিলাদের ব্যাপক পরিমাণে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছি। কারণ কর্মহীন হয়ে যাওয়া বহু মানুষের কর্মসংস্থান করাই এখন আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য। প্রায় কুড়ি লক্ষ গাছের চারা আমরা তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছে।" অরণ্য সপ্তাহ থেকে শুরু করেন বিশ্ব ম্যানগ্রোভ দিবসেও প্রচুর গাছের চারা বসানো হয়েছে সাগর, পাথরপ্রতিমা, গোসাবা ,বাসন্তী কুলতলী, কাকদ্বীপ, নামখানা সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন নদীর চর এলাকাতে। সেই সমস্ত এলাকায় গাছের চারা সরবরাহ করার দায়িত্ব আছে এই সমস্ত পঞ্চায়েত গুলিতে