বুকফাটা কান্নায় ভেঙে পড়ল মণীশের মা! বাড়িতে অর্জুন, কৈলাস, শঙ্কুদেব
মণীশ শুক্লা হত্যাকাণ্ডে সিবিআই তদন্ত দাবি করল বিজেপি। খুনের বিষয়টি জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে। এদিকে খুনের ঘটনায় মৃতের বাড়িতে পৌঁছালেন বিজেপি নেতা ও সংসদদের দল। বিজেপির স্থানীয় নেতাদের অভিযোগ, পুলিস এবং দুষ্কৃতীদের জয়েন্ট অপারেশনে খুন হয়েছে মণীশ শুক্লা। খুনের ঘটনায় আজ বারো ঘন্টার ব্যারাকপুর বনধের ডাক বিজেপির।
টিটাগড়ে মণীশ শুক্লা খুনের ঘটনায় বিজেপির ১২ ঘণ্টার বনধ চলছে ব্যারাকপুর জুড়ে। টিটাগড় এবং ব্যারাকপুরের রাস্তাঘাট ফাঁকা। দোকানপাট এখনও খোলেনি। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশস এবং র্যাফ মোতায়েন করা হয়েছে। চন্দনপুকুর বটতলা, ব্যারাকপুর বারাসাত রোডের বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। ইছাপুরের কণ্ঠাধার মোড়ে রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মীরা।
মণীশ শুক্লা খুনের ঘটনাকে বিজেপির অভ্যন্তরীন কোন্দল বলেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা নির্মল ঘোষ। তৃণমূলের বক্তব্য উড়িয়ে অর্জুন সিংয়ের দাবি হয়তো তিনি নিজেই দুষ্কৃতীদের টার্গেট ছিলেন। একইসঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি আগামি দিনে গণ প্রতিশোধ নেওয়া হবে।
টিটাগড়ে ফের শুটআউট। ভরসন্ধেয় থানার সামনেই খুন বিজেপির দাপুটে নেতা মনীশ শুক্লা। এলাকায় অর্জুন সিংয়ের ডানহাত বলেই পরিচিত ছিলেন মনীশ। টিটাগড় থানার উল্টো দিকেই বিজেপি পার্টি অফিস।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সন্ধেয় গাড়ি থেকে নামতেই দুটি বাইকে চড়ে আসা চারজন দুষ্কৃতী মণীশ শুক্লাকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন প্রায় পনেরো থেকে ষোলো রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। যদিও পুলিস বলছে সাত রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে। যারমধ্যে চারটি গুলি লাগে মণীশের মাথায়, পেটে এবং বুকে। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন বিজেপি নেতা। তারপরই মৃত্যু হয় তাঁর