EXPLAINED | Manu Bhaker: `পুরস্কারের ভিক্ষা করব?` এক অলিম্পিক্সেই দুই পদক! তবুও খেলরত্নে কেন নাম নেই মনুর?
চলতি বছর প্যারিস অলিম্পিক্সে আগুনে পারফর্ম করে, সব আলো একাই কেড়ে নিয়েছিলেন মনু। তিনি ১০ মিটার এয়ার পিস্তল ইভেন্টে ব্যক্তিগত দক্ষতায় ব্রোঞ্জ জেতার পাশাপাশি, তিনি ১০ মিটার এয়ার পিস্তলের মিশ্র দলগত ইভেন্টেও ব্রোঞ্জ জিতেছেন সরবজ্যোত সিংয়ের সঙ্গে। তবে ২৫ মিটার পিস্তলের ফাইনালে তাঁর অল্পের জন্য় পদক হাতছাড়া হয়েছিল।
প্রথম ভারতীয় হিসেবে এক অলিম্পিক্সে জোড়া পদক পেয়েছেন মনু। স্বাধীন ভারতে এই নজির আর কোনও ক্রীড়াবিদের নেই। ১৯০০ সালে নর্ম্যান প্রিচার্ড অ্যাথলেটিক্সে ২টি রুপো জিতেছিলেন। তাঁর ইভেন্ট ছিল ২০০ মিটার স্প্রিন্ট ও ২০০ মিটার হার্ডল। মনুর জোড়া পদকই বন্দুক চালিয়ে। পিভি সিন্ধুর পর দ্বিতীয় ভারতীয় মহিলা হিসেবে জোড়া অলিম্পিক্স পদক পেয়েছেন তিনি। নর্ম্যান প্রিচার্ড, সুশীল কুমার, সিন্ধু, নীরজ চোপড়ারা রয়েছেন এক আসনেই।
দেশের এই কৃতী মেয়েই এবার খেলরত্নের মনোনয়ন থেকে বাদ পড়লেন! যে খবরে বিতর্কের মহাপ্রলয় ধেয়ে এসেছে ভারতীয় স্পোর্টসে! ভারতের হকি দলের অধিনায়ক হরমনপ্রীত সিং,প্যারালিম্পিক্সের হাই জাম্পে সোনাজয়ী প্রবীণ কুমাররা মনোনয়ন পেয়েছেন কিন্তু নেই মনু! সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ভি রামাসুব্রমামের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ক্রীড়া দিবস কমিটির খেলরত্নের তালিকা সুপারিশ করেছে! সেখান থেকেই বাদ পড়েছে মনুর নাম!
ক্রীড়ামন্ত্রকের দাবি, মনু নাকি খেলরত্নের আবেদনই করেননি। তবে মনুর বাবা রামকৃষ্ণ ভাকের কিন্তু একদম রেয়াত করলে না। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্য়মে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তিমি বলেন, 'এক অলিম্পিক্সে জোড়া পদক পেয়েও যদি পুরস্কারের জন্য় ভিক্ষা করতে হয়, তাহলে সেই পদক পেয়ে কী লাভ হল! এক সরকারি কর্তা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন এবং কমিটির সদস্যরা তাঁদের মতামত না দিয়ে নীরব থাকছেন। আমি বুঝতেই পারছি না কিছু। এভাবে কি আপনি ক্রীড়াবিদদের উৎসাহিত করছেন? আমরা পুরস্কারের জন্য আবেদন করেছিলাম কিন্তু কমিটির কাছ থেকে কোনও উত্তর পাইনি। কেন অভিভাবকরা তাঁদের সন্তানদের খেলতে উত্সাহিত করছেন! তাঁদের উচিত সরকারি আইআরএস অফিসার হওয়ার জন্য বাচ্চাদের চাপ দেওয়া।' বোঝাই যাচ্ছে মনুর পদক নিয়ে বিস্তর জটিলতা তৈরি হয়েছে।
মেজর ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন (অতীতে রাজীব গান্ধী খেলরত্ন) দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক ক্রীড়া সম্মান। ১৯৯১-৯২ সালে দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে সর্বোচ্চ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ খেলরত্ন চালু হয়েছিল। এই পুরস্কারজয়ী ক্রীড়াবিদকে ২৫ লক্ষ টাকা নগদের সঙ্গেই দেওয়া হয় মানপত্র। যদিও এই পুরস্কারের আগে থেকেই প্রতিবছর ক্রীড়াক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অর্জুন পুরস্কার প্রদানের রীতি চলে আসছিল।