কোথাও রঙে ভাসল তৃতীয় লিঙ্গ, কোথাও ঘুড়ি উড়িয়ে সূচনা বসন্ত উৎসবের...
একে অপরকে আবির মাখিয়ে, মিষ্টিমুখ করিয়ে শোভাযাত্রা করেন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষজন। নাচ, গান ও আনন্দ করে দিনটি পালন করলেন সকলে।
সংস্থা জানায়, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের নিয়ে তারা কাজ করে। তাদের স্বাস্থ্য, খাদ্যসংস্থান ইত্যাদির পাশাপাশি তাঁরা যাতে সমাজে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেন সেজন্য তারা চেষ্টা করে। ট্রান্সজেন্ডার মানুষদের নিয়ে বর্ণবৈষম্য দূর করার জন্য সকলকে এক ছাতার তলায় এনে সচেতনতা প্রচারও করা হয়।
এরকম আনন্দমুখর একটি দিন উপহার পেয়ে সকলেই খুশি। র্যাম্প শো, নাচ, গান, খাওয়া-দাওয়া, পরস্পরকে আবির মাখানো-সহ আরও নানা আয়োজন ছিল।
এদিকে বসন্তের নীলাকাশে উড়ল রঙ বেরঙের ঘুড়ি। প্রায় বিলুপ্ত হতে চলা ঘুড়ি ওড়ানোর রীতিকে জাগিয়ে রাখতেই এই ঘুড়ি উৎসব হয় জলপাইগুড়িতে। বসন্ত উৎসবকে সামনে রেখে এই ঘুড়ি উৎসব। দুটিই রঙের খেলা।
জলপাইগুড়ি পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির তরফে এই অভিনব কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। উত্তর বামনপাড়া ময়দানে অনুষ্ঠিত হল এই ঘুড়ি উৎসব। অনেকেই লাটাই ও ঘুড়ি নিয়ে এই উৎসবে যোগ দিয়েছেন।
লাল, নীল, সাদা, হলুদ-- নানা রঙের ঘুড়ি উড়ল বসন্তের নীল আকাশে। এই ধরনের উৎসব জলপাইগুড়িতে প্রথম না হলেও বেশ কয়েক বছর পরে এবার এই ঘুড়ি উৎসব অনুষ্ঠিত হল। রঙে রঙে মিলনের লগ্ন তৈরি হয় এই বাসন্তিক ঘুড়ির উড়ানে।
সরকারি প্রাথমিক স্কুলে পালিত হল আগাম বসন্ত-উৎসব। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকাকে রঙে রাঙিয়ে দিল বিদ্যালয়ের কচিকাঁচারা। জলপাইগুড়ি বিবেকানন্দ প্রাথমিক বিদ্যালয় রামকৃষ্ণপল্লি মোহিতনগরে দেখা গেল এ দৃশ্য। বিদ্যালয়ের কচিকাঁচা, তাদের অভিভাবক ও প্রাক্তনীদের নিয়ে সবুজ চা বাগানের কোলে শোভাযাত্রা এবং রঙিন অনুষ্ঠান। দোল উৎসব উপলক্ষে বিদ্যালয়ের সকলের জন্য ছিল দুপুরের আহারের আয়োজন-- ভাত, ফুলকপির ডালনা ও মিষ্টি।