Marriage: `একটু উষ্ণতার খোঁজে` কেন শীতকালেই বিয়ে? জেনে নিন
এমনিতেই বঙ্গ-সংস্কৃতিতে শীতের সঙ্গে উৎসবের একটা সম্পর্ক আছে। উৎসবের সেই আবহে বিয়ের মতো আর একটি উৎসবের সংযোগ আর বেশি কী?
সব চেয়ে বড় কথা, এই শীতেই ধান কাটা হয়। ঘরে ওঠে নতুন শস্য। এ সময়ে গ্রামীণ অর্থনীতি ভালো হয়। মানুষের হাতে টাকা আসে। ফলে বিবাহের মতো উৎসবের আয়োজন করার একটা অর্থনৈতিক যৌক্তিকতার দিক থাকে।
শীতে ক্রিসমাসের ছুটি পড়ে। মকর সংক্রান্তি বা ওই জাতীয় সিজনাল ছুটিও কিছু কিছু পড়ে এ সময়ে। ফলে এই সময়ে বিয়ের মতো অনুষ্ঠান পড়লে অসুবিধা কম হয়। ম্যানেজ করা সম্ভব হয়।
তবে ঋতুর সুবিধাটা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। শীতে আবহাওয়া শুকনো থাকে। ঘাম হয় না। ক্লান্তি লাগে না। খাটাখাটি দৌড়াদৌড়ির ক্ষেত্রে বেশি কষ্ট হয় না।
উৎসব মানেই ভোজ। বিয়েবাড়ির সঙ্গে জোরদার খাওয়াদাওয়ার যোগ অঙ্গাঙ্গি। গ্রীষ্মে আয়েস করে খাওয়া যায় না। খাবার হজম হতে সমস্যা হয়। সেই দিক থেকে দেখলে শীত খুবই সুবিধাজনক একটি মাস। এ সময়ে মানুষ কবজি ডুবিয়ে খেয়েও স্বস্তি অনুভব করেন।
আর খাওয়ানোর জিনিসপত্র? সেগুলিই-বা শীতের চেয়ে অন্য কোন সময়ে ভালো মেলে? এই সময়েই নতুন গুড় ওঠে, নতুন গুড়ের সন্দেশ, রসগোল্লা, পায়েস ইত্যাদি খুবই প্রেজেন্টেবল একটি আইটেম হয়ে দাঁড়ায়। এর উপর রয়েছে সবজি। শীতে কত রকম সবজি ওঠে। শীতে মাছের ভ্যারাইটিও মন্দ নয়। পদ তৈরিতে মাথার চুল ছিঁড়তে হয় না। জমে যায় বিয়েবাড়ি।
তবে আবহাওয়ার সব চেয়ে বড় সুবিধাটা সম্ভবত নেন বর-কনেই। বিশেষ করে কনে। বিয়ের সাজ এক গ্র্যাঞ্জার। গরমে সাজ দ্রুত নষ্ট হয়, যিনি সাজগোজ করেন কষ্ট হয় তাঁরও। শীত ঋতুতে সাজগোজ করে সুখ।
এই সূত্রেই আর একটা প্রসঙ্গ ওঠেই। তা হল বিদ্যুৎখরচ। শীতে ফ্যান বা এসির খরচ প্রায় নেই।
শীত হল ফুলের মরসুম। আর ফুল ছাড়া বিয়ে ভাবাই যায় না। গোলাপ-রজনীগন্ধা ছাড়াও গাঁদা, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকার মতো ফুলের বিপুল চাহিদা থাকে বিয়েবাড়িগুলিতে।
হানিমুন। যা বিয়ের সঙ্গে ওতপ্রোত। আর হানিমুনের জন্য শীতের চেয়ে ভাল সময় আর কী আছে? জঙ্গল-পাহাড় ছাড়াও এই সময়ে সমুদ্রের অপশনটা খুলে যায়।