ইসলামিক দেশে প্রশিক্ষণকেন্দ্রে হামলা করেছে শত্রু, পেশোয়ারে স্বীকারোক্তি মাসুদের ভাইয়ের
বালাকোটে তাদের ঘাঁটিতে ভারতীয় সেনা যে এয়ার স্ট্রাইক করেছে, তা স্বীকার করে নিল জইশের প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহারের ভাই মৌলানা আম্মার।
মৌলানা আম্মারের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। পেশোয়ারের একটি সভায় বক্তব্য রাখছে ওই জঙ্গি নেতা। ভাইরাল হয়েছে ওই সভায় আম্মারের রেকর্ড করা কণ্ঠস্বর।
২৮ ফেব্রুয়ারি পেশায়ারে একটি সভায় মৌলানা আম্মার বলছে, সীমান্ত পেরিয়ে ইসলামিক দেশে ঢুকে পড়েছে শত্রু। গোয়েন্দা সংস্থা বা সদর দফতর বা কোনও আধিকারিকদের বৈঠকস্থলে হামলা করেনি ভারতীয় সেনা, ওরা জিহাদ প্রশিক্ষণের কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে। ওখানে জিহাদ শিখত। কাশ্মীরের মুসলিমদের সাহায্যের জন্য। ওখানে হামলা হয়েছে।
সে বলছে, বালাকোট পর্যন্ত ঢুকে পড়েছে হিন্দুস্তান। নিয়াজির কারণে জেতা যুদ্ধ হেরে গিয়েছিল পাকিস্তান। হারাতে হয়েছিল অর্ধেক দেশ। আত্মসমর্পণ করেছিল ৯০ হাজার সেনা। এবার আপনাদের হাতে দায়িত্ব।
বালাকোট পর্যন্ত চলে এসেছে হিন্দুস্তান। নিয়াজির মতো দেশের অর্ধেক অংশ দিয়ে দিয়েছে। ৯০ হাজার। জেতা যুদ্ধ হেরে গিয়েছিল। এবার আপনাদের হাতে ফয়সালা। শত্রুকে হামলা করবেন না দেশ হারাবেন।
বালাকোটে জইশ-এ-মহম্মদের জঙ্গিঘাঁটিতে এয়ার স্ট্রাইক অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। তারা দাবি করেছে, পাকিস্তানি বিমানের তাড়া খেয়ে জঙ্গলে বোমা মেরে পালিয়ে গিয়েছে ভারতীয় বিমান। এমনকি বিদেশি সংবাদমাধ্যমের কাছে স্থানীয়দের দিয়ে পাক সরকার বলিয়েছে, বোমায় একজন আহত হয়েছে। কোনও জঙ্গিঘাঁটি এখানে নেই।
ভারতীয় বায়ুসেনা জানিয়ে দিয়েছে, সেনার দাবি, যুদ্ধ বিমানে থাকা সিন্থেটিক অ্যাপারচার র্যাডারে পাওয়া ছবি রয়েছে তাদের হাতে। এই র্যাডারে মূলত 3D ছবি ওঠে। গতিশীল বস্তুতে এই র্যাডার ব্যবহার হয়। মিরাজ ২০০০-এ এই র্যাডার রয়েছে। র্যাডারে ওঠে মূলত এক্স রে-র মতো ছবি।
ভারতের দাবি, কেন এয়ার স্ট্রাইকের পর মাদ্রাসা চত্বরে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি? কেন সাংবাদিকদের মাদ্রাসায় যেতে দেয়নি পাকিস্তান? মৌলানা মাসুদ আজহারের ভাই থাকত এই মাদ্রাসায়। এখানেই চলত জঙ্গি প্রশিক্ষণ। বায়ুসেনা এয়ার ভাইস মার্শাল আরজিকে কাপুর আগেই জানিয়েছিলেন, যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। তবে কবে প্রকাশ করা হবে সেই সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
পাকিস্তানি সংসদের যৌথ অধিবেশনে পাক রেলমন্ত্রী শেখ রশিদ স্বীকার করেছেন, ৪টি ভারতীয় বিমান ঢুকেছিল জাবায়। পিছনে আরও ১০টি বিমান আত্মরক্ষার ফরমেশনে ছিল। আজহারের মাদ্রাসা ধুলোয় মিশিয়ে দেয় তারা।