করোনাকে সাদরে স্বাগত! রবিবারের বাজারে গায়ে গা ঘেঁষে চলল দেদার বিকিকিনি
গতকালই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন জরুরি প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান খোলা থাকবে। নির্দিষ্ট সময়ে কিন্তু কোন ভাবেই যেন মানুষের ভিড় বা জমায়েত না হয়। তবে কে কার কথা শোনে? মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণার পরের দিন বাজারের যে ছবি দেখা গেল। সেই ছবি দেখলেই চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড়।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে মালবাজার মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় নির্ধারিত সময়ে ছোট ছোট বাজার করার অনুমতি দিয়েছে, যাতে কোন রকম ভিড় না হয়। কিন্তু তাতেও ভিড় হচ্ছিল। তাই গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে ভিড় এড়াতে গতকাল ওদলাবাড়ি বিধান পল্লীর ফুটবল মাঠে হাট বসার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। মাইকিং এর মাধ্যমে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এই হাটের অনুমতি দেওয়া হয়।
কিন্তু আজ এই হাটের যা ছবি দেখা গেল, তা দেখে রীতিমতো আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। কারণ এই হাটে নেই কোন সামাজিক দূরত্ব। তবে সব থেকে বড় কথা হল বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ এসেছে এখানে হাট করতে। গায়ে গা লাগিয়ে চলছে কেনাকাটা। যেহেতু সব জায়গায় হাট বন্ধ। তাই ওদলাবাড়ি তে হাট হবে শুনে পাহাড়, সমতলের সব জায়গার মানুষ চলে এসেছে এই হাটে কেনাকাটা করতে।
একই দৃশ্য দেখা গেল কোচবিহারের বাজারগুলিতেও। শহরের ভবানীগঞ্জ বাজারের মাছ বাজার ও স্থানান্তরিত সবজি বাজারের ছবি আর ৫ তা দিনের মতোই । কোথাও আবার ভিড় আর ৫ তা দিন কেও ছাড়িয়ে গেছে।
ভবানীগঞ্জ বাজার ছাড়াও শহরের নতুন বাজার , বাবুরহাট বাজার ও রেলগেট বাজারে উপচে পড়া ভিড় । সোশ্যাল ডিসটেন্স বলে কিছু নেই । একে ওপরের গায়ে লাগিয়ে চলছে দেদার বিকিকিনি।