Meet Divya Deshmukh: যৌনতার `শাপে` বিদ্ধ দেশের দাবা-নক্ষত্র দিব্যা!
দিব্যা দেশমুখ ২০০৫ সালের ৯ ডিসেম্বর নাগপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ভারতীয় দাবার দুনিয়ায় তিনি উদীয়মান তারকা। দিব্য়ার কিন্তু ডাক্তারের পরিবার। তিনি অনেকের অনুপ্রেরণা।
দিব্য়ার বাবাই তাঁকে চৌষট্টি খোপের দুনিয়ায় নিয়ে আসেন মাত্র পাঁচ বছর বয়সে। ধীরে ধীরে তাঁর সাদা-কালো দুনিয়ার প্রতি আগ্রহ বাড়তে থাকে। দিব্যা দাবার বোর্ডে রাখেন ছাপ।
দাবায় দিব্যার যাত্রা অসাধারণ বললেও কম। সাত বছর বয়সে প্রথম জাতীয় পুরস্কার জেতেন। তাও আবার এশিয়ান স্কুল দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে সোনার পদক গলায় ঝুলিয়ে।
২০২০ সালে এফআইডিই অনলাইন দাবা অলিম্পিয়াডে দলগত ভাবে দিব্য়া জেতেন। ২০২১ সালে তিনি ভারতের একুশতম মহিলা গ্র্যান্ডমাস্টার হন।
দিব্য়া এশিয়ান যুব দাবা চ্য়াম্পিয়নশিপ, কমনওয়েলথ গেমস, টাটা স্টিল ইন্ডিয়া দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ (ব়্য়াপিড বিভাগ) জিতেছেন।
দিব্য়ার এই মুহূ্র্তে এফাইডিই রেটিং: স্ট্য়ান্ডার্ড-২৪২০, ব়্য়াপিড-২৪০১, ব্লিৎজ-২৩৫৩। দিব্য়ার বিশ্ব ব়্য়াঙ্কিং ২৩১২ (সব দাবাড়ুদের মধ্য়ে) ও ১৫১৪ (সক্রিয় দাবাড়ুদের মধ্য়ে)। সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে তরতরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন দিব্য়া।
সম্প্রতি দিব্যা টাটা স্টিল মাস্টার্সে যৌনবাদী দৃষ্টিভঙ্গির শিকার হয়েছেন। খেলার পরিবর্তে মানুষজন, তাঁর পোশাক, চেহারার মতো অপ্রাসঙ্গিক দিকগুলিতেই ফোকাস করেছিলেন। মেয়েদের এই চ্যালেঞ্জগুলি তুলে ধরতেই সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
দিব্যার অনলাইন বিস্ফোরণের পরেই দাবা সম্প্রদায়ের মধ্যে আলোচনার ঝড় উঠে গিয়েছে। কেউ কেউ দিব্য়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন। কেউ আবার তাঁর এই অবস্থানের সমালোচনাও করেছেন। দিব্যার ঘটনা নারী দাবাড়ুদের সম্মান ও স্বীকৃতির প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়িয়েছে আরও।
কিংবদন্তি দাবাড়ু সুজান পোলগার দিব্য়ার অনুভূতি বুঝতে পেরেছেন। পোলগার জানিয়েছেন যে, তিনি যৌন হয়রানি এড়াতে সচেতনভাবেই নিজেকে সহজ সরল ভাবে উপস্থাপন করেছেন, খেলাধুলোয় মহিলারা ক্রমাগত যে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে, সে দিকেই সুজান আলোকপাত করেছেন।
দিব্যার যাত্রা উচ্চাকাঙ্ক্ষী দাবা খেলোয়াড়দের অনুপ্রাণিত করবে। বাধা ভেঙে এবং চ্যালেঞ্জিং ধ্য়ানধারণাগুলিকে ভাঙবে। সাম্প্রতিক এই ঘটনার প্রতিফলন লিঙ্গ নির্বিশেষে প্রতিভা এবং দক্ষতার দিকেই ফোকাসের বার্তা দিল।