পুজোর যানজটপূর্ণ রাস্তায় ফেঁসে বসে রয়েছেন গাড়িতে! মাথা ঠাণ্ডা রাখার কয়েকটা উপায়
একা গাড়ি না চালানোর চেষ্টা করে কাউকে সঙ্গী করে নিন। একা গাড়ি চালালে অনেক সময় জ্যামের বিরক্তিতে মাথা গরম হয়ে যেতে পারে। পাশে কেউ থাকলে চালকের আসনে বসে আপনি কম ঝুঁকি নেবেন। সতর্কও থাকবেন অনেক বেশি।
গাড়ি চালানোর সময় রক, হেভি মেটাল, হিপ হপ গান শোনা মোটেও ভাল আইডিয়া নয়। এক্ষেত্রে উত্তেজনায় দুর্ঘটনায় পড়ার সম্ভাবনা বাড়ে। বরং ক্লাসিক্যাল বা পপ সঙ্গীত আপনার মনকে শান্ত রাখতে পারে। এমনকী এই ধরণের সঙ্গীত বিরক্তিও কমায়।
গাড়ি চালানোর জন্য মনোনিবেশ একটা বড় ফ্যাক্টর। এক্ষেত্রে গাড়ি চালাতে চালাতে তো আর ধ্যানে বসতে পারবেন না। তবে নিজের প্রতিটা নিঃশ্বাসে মনোযোগ দিন। মন শান্ত হবে।
ইন্টারনেটে বিভিন্ন পডকাস্ট শুনতে পারেন। বিভিন্ন বইয়ের অডিও ভার্সন শুনতে পারেন। অথবা কোনও খবর। এক্ষেত্রে পডকাস্ট থেকে নতুন ভাষা শিখে নেওয়ার কথাও ভাবতে পারেন।
অনেক সময়ই আমরা তাড়াতাড়ি গন্তব্যে পৌঁছনোর জন্য ভিড় রাস্তাতেও আমরা ওভারটেক করি। এতে কিন্তু লাভ কিছুই হয় না। বরং বারবার ওভারটেক করার চিন্তা আপনাকে অস্থির করে তুলবে। তার থেকে ধীরে-সুস্থে এক লাইনে গাড়ি চালান।
আমাদের মধ্যে অনেকেই গাড়িতে বসে নিজেকে শাপ-শাপান্ত করি। গাড়ি কিনলাম কেন, ড্রাইভার রাখলে ভাল হত, কলকাতার রাস্তায় আর গাড়ি চালানো যাবে না, অফিস থেকে এত দূরে বাড়ি ইত্যাদি হাজারো অকারণ চিন্তা মাথায় আসে। এই সময় বরং অন্য কথা ভাবুন। পজিটিভ কিছু। আপনার চাকরিটা ভাল, নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করুন, আর কিছুক্ষণেই বাড়ি ফিরে যাবেন এমন সব ভাল ভাবনা মনে করুন। এতে আপনার মানসিক অস্থিরতা কমবে।
দীর্ঘক্ষণ বাইরে থাকতে হবে। অথবা জানেন, দীর্ঘ সময় ড্রাইভ করতে হবে। এক্ষেত্রে একটা ভাল জুতো আপনাকে অনেকটা আরামদায়ক পরিস্থিতি তৈরি করে দিতে পারে। ভাল জুতো পরে গাড়ি ড্রাইভ করলে লাভ অনেক।
গবেষণা বলছে, ল্যাভেন্ডার-এর সুগন্ধ দুশ্চিন্তা ও উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তাই গাড়ির ভিতরে ল্যাভেন্ডার এর সুগন্ধ আপনাকে শান্ত রাখতে সাহায্য করতে পারে।