Migratory Bird: শীত পড়লেই এই সব পাখি রোদ্দুরে মেলে দেয় নীল ডানা
দুয়ারে কড়া নাড়়ছে শীত। অপেক্ষা হয়তো আর কয়েকদিনের। চলতি নিম্নচাপ কাটলেই জাঁকিয়ে বসবে শীত। আর শীত এলেই ঝাঁকে-ঝাঁকে পাড়ি জমাবে পরিযায়ী পাখির দল। কিন্তু মানুষের নানা কার্যকলাপে একটু বিপন্নই থাকে এই সব পাখি।
তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে এবার মাল শহর সংলগ্ন সোনগাছি চা-বাগানের নাকাটি ডিভিশনে আয়োজিত হল এক বিশেষ শিবির। স্থানীয়দের উপস্থিতিতে মালবাজারের 'মাউন্টেন ট্রেকার্স ফাউন্ডেশনে'র উদ্যোগে এই শিবিরের আয়োজন হল। শুধু পরিযায়ী পাখিই নয়, স্থানীয় নীলকন্ঠ থেকে শুরু করে টিয়া, ধনেশ, পানকৌড়ি, বসন্তবৌরি, মাছরাঙা-সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখির নিরাপত্তা সুনিশ্চিতকরণের বিষয়েও জোর দেওয়া হল এই শিবিরে।
আগের চেয়ে তুলনামূলকভাবে শহরাঞ্চলে কমে গিয়েছে পাখির সংখ্যা। তবে, ডুয়ার্সের বিভিন্ন এলাকায় এখনও একাধিক প্রজাতির পাখি নজরে আসে। বাতাসে শীতের আভাস মিলতেই এবার আসতে শুরু করেছে পরিযায়ী পাখি।
গজলডোবা-সহ ডুয়ার্সের বিভিন্ন নদী এবং বনাঞ্চলে দেখা মেলে এই পাখিদের। তবে, একদল অসাধু মানুষের উপদ্রবে পরিযায়ী পাখিরা সঙ্কটে। সেক্ষেত্রে পাখির দল ভিড় জমানোর আগেই পাখিবিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে শামিল হলেন মালবাজারের 'মাউন্টেন ট্রেকার্স ফাউন্ডেশনে'র সদস্যরা।
ফাউন্ডেশনের অন্যতম কর্মকর্তা স্বরূপ মিত্র বলেন, 'ইদানীং চা-বাগান থেকে শুরু করে ফসলক্ষেতে বিভিন্ন কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। সেই কীটনাশকের প্রভাবে মরছে কীটপতঙ্গেরা। আর মৃত সেই সব কীট খায় পাখিরা। খেয়ে অসুস্থও হয়ে পড়ে তারা। এই সব বিষয় বিশেষ ভাবে নজরে রাখা প্রয়োজন।
এছাড়াও অনেকেই পরিযায়ী পাখিদের শিকার করেন। এ ভাবে পাখিশিকার চললে আগামি দিনে পরিযায়ী পাখিরা বিপন্ন হয়ে পড়বে। তাই এ বিষয়েও সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি। ওই শিবিরের আয়োজকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গিয়েছে, এই বিষয়টা তাদের মাথায় আছে।