মুকুল যোগেই কি পদ খোয়ালেন মন্ত্রী?
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পদত্যাগ করলেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী। দফতরবিহীন মন্ত্রী অবনী জোয়ারদার, আদিবাসী উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী জেমস কুজুর এবং অনগ্রসর শ্রেণিবিকাশ মন্ত্রী চুড়ামণি মাহাত মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন বলেই খবর।
সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত ভোটে পদ্মের চাষ হতেই পদ খোয়াতে হয়েছে রাজ্যের দুই মন্ত্রী জেমস কুজুর এবং চুড়ামণি মাহাতকে।
রাজ্যের সর্বত্র ঘাসফুলের ঝড় উঠলেও তুলনায় খারাপ ফল হয়েছে ঝাড়গ্রাম এবং আলিপুরদুয়ারে।
মন্ত্রী চুড়ামণি মাহাতর বিধানসভা কেন্দ্র গোপীবল্লভপুরেও বিজেপির কাছে পরাজিত শাসকদল। তৃণমূল অন্দরে অনেকেই মনে করছেন, ঝাড়গ্রামে দলের ফল খারাপ হওয়ার পিছনে কলকাঠি নেড়েছেন মন্ত্রী। চুড়ামণি মাহাতর সঙ্গে মুকুল যোগের কথাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। যদিও চুড়ামণি মাহাত জানিয়েছেন, মন্ত্রিসভা থেকে এখনও পদত্যাগ করার নির্দেশ পাননি তিনি।
উল্লেখ্য, এর আগেও মন্ত্রী চুড়ামণিকে সাবধান করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন সদ্য প্রাক্তন হওয়া মন্ত্রীরা দলের কাজ করবেন।
চুড়ামণি মাহাতর মতো জেমস কুজুরও বলেছেন তিনি এখনও মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করার নির্দেশ পাননি।
তবে দফতরবিহীন মন্ত্রী অবনী জোয়ারদারের ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত ভোটের সরাসরি কোনও যোগসূত্র নেই। অসুস্থতার কারণেই মন্ত্রিত্ব থেকে সরেছেন কৃষ্ণনগর উত্তরের এই বিধায়ক।
নবগঠিত ঝাড়গ্রাম, আলিপুরদুয়ার এবং নদীয়ার এই তিন মন্ত্রীর বদলে কারা মন্ত্রীসভায় আসছেন, সে বিষয়ে কিছুই জানাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এর আগেও ভোটে ভরাডুবিতে মন্ত্রিত্ব হারিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক। আসানসোলে বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়ের জয়ে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানো হয়েছিল তাঁকে। যদিও পরে ফিরিয়ে আনা হয়।