Mithun Chakraborty: `মহিলাদের সঙ্গে যে খেলা হয়েছে তা অত্যন্ত ঘৃণ্য`
সুকান্ত মজুমদার অনেক ভালো আছেন। উনি যেতে চান। কিন্তু ডাক্তার আজ ছাড়বে না কালকে ছাড়বে। ওনাকে কলার বোন পড়ে থাকতে হবে। কলার বোনে আঘাতটা বেশি। আমাকে বললেন সন্দেশখালিতে কী হচ্ছে দেখো দাদা। বারবার সন্দেশখালিতে যেতে চাইছেন।
টাইম হ্যাস কাম নাউ। ইউ রাইজ। যদি মহিলাদের সঙ্গে এইভাবে ব্যবহার হয়, যদি মহিলাদের ইউজ করা হয় তার থেকে ঘৃণ্য কাজ আর কিছু হতে পারে না। মহিলাদের সঙ্গে যে খেলা হয়েছে তা অবিশ্বাস্য। রাজনীতির লড়াই হোক। কিন্তু এটা রাজনীতির ঊর্ধ্বে। সবাইকে দেখা উচিত যে এরপর ওই মহিলাদের ওপর যাতে আর কোনও অত্যাচার না হয়। তারা সামনে এসেছেন। সোচ্চার হয়েছেন। তাদের কণ্ঠস্বর যাতে থামিয়ে দেওয়া না হয়।
আটকে না দিয়ে কোন উপায় ছিল না। বাধা না দিলে সত্যিটা আরও বড় করে বেরিয়ে আসবে বাইরে। বাধা তো দিতেই হবে।
শেখ শাহজাহান সত্যিকারের ভালো মানুষ কী খারাপ মানুষ, কেন মুখ্যমন্ত্রী তার পাশে দাঁড়াচ্ছেন, অনেক কিছু ব্যাপার আছে। কারণ সত্যিটা সামনে ফেটে বেরিয়ে আসবে। সত্যিটা এত বড় ভাবে বেরিয়ে আসবে, সেটা হয়তো সামলাতে পারবেন না। তাই শাহজাহানকে এখন গার্ড দিতেই হবে।
এর আগে যখন হয়েছিল, তৃণমূল আসছিল তখন? এইরকমই তো ঘটনা ঘটেছিল। তখন কেন বলেননি? এখন কেন বলছেন? মহিলাদের কত শেখাবেন আপনি! ধরে নিলাম বিজেপি এটা সাজিয়েছে। কতজনকে সাজাবেন? একটা দুটো তিনটে? হাজার হাজার লোককে বিজেপি শিখিয়ে সামনে আনবে! এটা সম্ভব! ইজ ইট ফিজিক্যালি পসিবল?
আরএসএস শুধু ভারতবর্ষে কেন গোটা পৃথিবীতে আছে। ১২ কোটি অফিসিয়াল সদস্য আরএসএসের। আর.এস.এস ইজ নট এ নেগেটিভ ফোর্স। এ পজিটিভ ফোর্স ফর নেশন বিল্ডিং।
পাঁচ বছর পরে উনি বুঝেছেন যে ওটা ওনার নয়?
অবশ্যই। এটাই বোধহয় রাজনীতির নিয়ম। যখনই কোনও আওয়াজ উঠবে সেই আওয়াজটাকে থামিয়ে দাও। না হলে আওয়াজটা আরও বড় হয়ে যাবে।
আমি একে পজিটিভলি দেখছি। যখন পার্লামেন্টের কমিটি বসবে, তখন প্রকৃত সত্যটা সামনে আসবে। এখানে বললে বলবে যে বানিয়ে তৈরি করে বলছে। অসুবিধা কী আছে? যান সেখানে।
আমি বলব যে আওয়াজ উঠেছে সেই আওয়াজ যাতে বন্ধ না হয়। আমরা সবাই আপনাদের পেছনে আছি। যারা আপনাদের হুমকি দেবে, আপনাদের কন্ঠস্বর বন্ধ করার চেষ্টা করবে, কিন্তু এই আওয়াজ বন্ধ হবেনা।
আমি বিষয়টা নিয়ে ওয়াকিবহাল নই। আমাকে যদি জিজ্ঞাসা করেন তাহলে বলব, দেব ঐরকম ছেলে নয়। ব্যক্তিগতভাবে বলছি। কিন্তু যেহেতু এটা একটা সংস্থা, তারা তাদের অফিসিয়াল ডিউটি করছে। এটা দেবের ব্যাপার, দেব কী করবে।
ইডির কাজ বিজেপির নয়। একটা ভুল ধারণা সর্বত্র ছড়ানো হয়েছে, যে ED-কে নিয়ন্ত্রণ করছে বিজেপি। কালকে বিজেপির সরকার না থাকলে ইডি সিবিআই কার হবে? দুটোই স্বাধীন সংস্থা। তারা এরকমই থাকবে। এখানে পুলিস যেটা করছে, তাকে আপনি কী বলবেন?
আমি এক তারিখ থেকে প্রচারে নামবো। শেষ পর্যন্ত থাকবো। প্রার্থী হলে নিজের জায়গাতে মনোযোগ দিতে হবে। যেই জিনিসটা ছেড়ে এসেছি একবার তার মধ্যে ঢুকতে চাই না। আপনারা হয়তো জানেন না, আমাকে এর থেকে আরও বড় অফার দেওয়া হয়েছে। আমি দেওয়ার লোক। নেওয়ার লোক নই।