EXPLAINED | Mohammed Shami: `রাখুন মশাই নিজের জ্ঞান...`! মঞ্জরেকরের উইকেট গুঁড়িয়ে দিলেন শামি, চলছে ধুন্ধুমার...
গত ৩১ অক্টোবর আইপিএলে অংশগ্রহণকারী ১০ দল খেলোয়াড় ধরা-ছাড়ার তালিকা দিয়েছিল বিসিসিআই-কে। গুজরাত টাইটান্সের ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে দেওয়া রিটেনশন লিস্টে ছিলেন রশিদ খান, শুভমন গিল, সাই সুদর্শন, রাহুল তেওয়াটিয়া ও শাহরুখ খান। গুজরাত ধরে রাখেনি জাতীয় দলের স্টার পেসার মহম্মদ শামিকে।
আইপিএল মেগা নিলামের দিনক্ষণ জানিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই। নভেম্বরের ২৪ ও ২৫ তারিখ সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বহু প্রতীক্ষিত স্পোর্টিং ইভেন্ট। চূড়ান্ত তালিকায় রইল ৫৭৪ জন। দু’দিনের মহাযজ্ঞে ৩৬৬ জন ভারতীয় ও ২০৮ জন বিদেশি ক্রিকেটার উঠবেন নিলাম টেবলে। নিলামে নাম থাববে শামিরও।
২০২২ সালের নিলামে ৬.২৫ কোটি টাকায় শামিকে নিয়েছিল গুজরাত। প্রাক্তন ক্রিকেটার মঞ্জরেকর মনে করেন যে, শামি এবার আর এত টাকা পাবেন না। মঞ্জরেকর আইপিএলের সম্প্রচারকারী চ্য়ানেলে বলেছেন, 'অবশ্যই নিলামে শামিকে নেওয়ার আগ্রহ দেখাবে দলগুলি। তবে শামির চোট পাওয়ার ইতিহাস রয়েছে। সম্প্রতি তাঁর চোট সারিয়ে ফিরতে দীর্ঘ সময় লেগেছে। আইপিএল মরসুমেও তাঁর চোট পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। যদি কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রচুর টাকা দিয়ে শামিকে নিল এবং তারা মাঝপথে আর তাঁর সার্ভিস পেল না, এটা ভেবেই তাদের বিকল্প সীমিত হবে। এই উদ্বেগের ভাবনাতেই নিলামে শামির দাম কমবে'
শামি তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লিখেছেন, 'বাবাজির জয় হো। কিছু জ্ঞান আপনি ভবিষ্য়তের জন্য় বাঁচিয়ে রাখুন, কাজে আসবে সঞ্জয় জি। কেউ যদি নিজের ভবিষ্য়তের সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে স্য়রের সঙ্গে দেখা করুন। শামির এই উত্তরই নেটপাড়ায় আগুন জ্বেলে দিয়েছে...
প্রায় দীর্ঘ এক বছর পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেই ছাপ রেখেছেন শামি। বাংলার হয়ে মাঠে নেমেছিলেন ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে, বাংলা-মধ্যপ্রদেশ রঞ্জি ম্যাচের হাত ধরে শামি, ৩৬০ দিন পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরেন তিনি। শামি দুই ইনিংস মিলিয়ে নিয়েছিলেন সাত উইকেটও। শামি না থাকলে হয়তো বাংলা ওই রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে হেরেও যেতে পারত। প্রত্যাবর্তনের পুরস্কারও পেয়েছেন শামি। তাঁকে নিয়েই হয়েছে বাংলার ২২ সদস্যের সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির স্কোয়াড।
লাল বলের পর এবার সাদা বলেও শামি তাঁর ফিটনেস ঝালিয়ে নিতে পারবেন। তাঁর উপর চোখ থাকবে বিসিসিআই-এরও। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ফ্ল্যাগশিপ ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে চলেছে ভারত। ২২ নভেম্বর থেকে পারথে শুরু ইন্দো-অজি মহাযুদ্ধ। ১৯৯১-৯২ সালের পর এই প্রথম বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে পাঁচ টেস্টের সিরিজ। শুরুতে খেলতে না পারলেও শামিকে দল পরের দিকের টেস্টের সূচিতে ভাবতেই পারে।
অস্ট্রেলিয়ায় শামির ইতিহাস দুর্দান্ত। ২০২৮-১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ভারতের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের অন্য়তম কাণ্ডারী তিনি। শামির প্রত্যাবর্তন ভারতের পেস আক্রমণ ভাগে বাড়তি অক্সিজেন দেবে, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। বুমরা-সিরাজের সঙ্গে তিনি জুড়ে গেলে অনেক খেলাই ঘুরে যাবে।