EXPLAINED | Mohammed Shami: অস্ট্রেলিয়ায় আসছেন না শামি! বিগ ব্রেকিং দিল বিসিসিআই, তাহলে চোট কী আবার...
চলতি বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের ফল এখন ১-১। বৃষ্টিবিঘ্নিত ব্রিসবেনে তৃতীয় টেস্ট ড্র হয়। আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে মেলবোর্নে শুরু বক্সিং-ডে টেস্ট। আগামী বছর ৩ জানুয়ারি থেকে সিডনিতে শুরু সিরিজে শেষ ও পঞ্চম টেস্ট। ঘরোয়া ক্রিকেটে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন করে মহম্মদ শামি কি জাতীয় দলে ঢুকে পড়বেন? শেষ দুই টেস্টে জসপ্রীত বুমরার সঙ্গী হবেন তিনি? এটাই ছিল সকলের প্রশ্ন। এবার বিগ ব্রেকিং দিল বিসিসিআই।
মেলবোর্ন এবং সিডনি টেস্টে নেই শামি। জাতীয় দলের স্টার পেসারের ধরা হচ্ছে না অস্ট্রেলিয়ার বিমান। বিসিসিআই প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিল শামির আপডেট। অধিনায়ক রোহিত শর্মা জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে ফোন করে শামির আপডেট জানতে চেয়েছিলেন। আর তারপরেই বোর্ড দিল বুক ভাঙা খবর। শামিকে ভোগাচ্ছে সেই চোটই!
'সেন্টার অফ এক্সিলেন্সে বিসিসিআইের মেডিক্য়াল টিম ভারতীয় ফাস্ট বোলার মহম্মদ শামির সঙ্গে কাজ করছে। ডান গোড়ালির অস্ত্রোপচারের পরে তাঁর পুনরুদ্ধার এবং পুনর্বাসনের দিকেই চোখ। গোড়ালির সমস্যা থেকে এখন পুরোপুরি সেরে উঠেছেন শামি। তিনি বাংলার হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে ৪৩ ওভার বল করেছেন। পাশাপাশি সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতেও ৯ ম্য়াচ খেলেছেন। টেস্ট ম্য়াচের জন্য নিজেকে তৈরি করার জন্য অতিরিক্ত বোলিং সেশনও করেছেন। চবে বোলিংয়ের ধকল নিতে গিয়ে তাঁর বাঁ-হাঁটু হাল্কা ফুলেছে। বর্তমান চিকিৎসা মূল্যায়নের উপর ভিত্তি করে,বিসিসিআইের মেডিক্য়াল টিম ঠিক করেছে যে, ওকে বোলিংয়ের ধকলে রাশ টানতে হবে। যার ফলে বাকি দুই টেস্টের জন্য় তিনি ফিট নন। সেন্টার অফ এক্সিলেন্সেই বিসিসিআই-এর মেডিক্য়াল টিমের তত্ত্বাবধানে শামির স্ট্রেন্থ এবং কন্ডিশনিং নিয়ে কাজ চলবে। তারপরেই ক্রিকেটের দীর্ঘতম সংস্করণের জন্য় ও প্রস্তুত হবে। আসন্ন বিজয় হাজারে ট্রফিতেও শামির অংশগ্রহণ নির্ভর করছে হাঁটুর উন্নতির ওপর।'
বিজয় হাজারে ট্রফিতে বাংলার প্রথম ম্য়াচের প্রতিপক্ষ ছিল দিল্লি। সেই ম্য়াচে মহম্মদ শামিকে রাখা হয়নি। শামির চোটের উপরেই পরবর্তী ম্য়াচে খেলা নির্ভর করছে। দেখা যাক এবার কী হয়!
গত নভেম্বরে প্রায় ৩৬০ দিন পর মাঠে ফিরেছিলেন শামি। ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে বাংলা-মধ্যপ্রদেশ রঞ্জি ম্যাচে শামি খেলেছিলেন। ১৭ মাস পর ফের লাল বলের ক্রিকেট খেলেছিলেন শামি। ২০২৩ সালের জুনে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল শেষ বার হাতে লাল বল তুলে নিয়েছিলেন শামি। পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপের পর যদিও সেদিনই প্রথম মাঠে নেমেছিলেন তিনি। শামি সেদিন ১০ ওভার বল করে ৩৪ রান হজম করেছিলেন।
মার্চের মাঝামঝি সময়ে বিদেশে গিয়ে অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছিল। কাজে দেয়নি ইঞ্জেকশনও। চোট-আঘাত সারিয়ে ৩৩ বছরের উত্তরপ্রদেশের ক্রিকেটার নেটে বল হাতে নেমেও পড়েছিলেন। বোলিং শুরু করে দিয়েছিলেন তারকা পেসার। কিন্তু সেরে ওঠার পরে ফের বোল্ডার চলে আসে! জানা যায় শামির চোট আবার মাথাচাড়া দিয়েছিল। তাঁর হাঁটু ফুলে যায়! শামি এবার এনসিএ-তে রিহ্য়াব শুরু করে ক্রিকেটে ফিরলেন।