Mohammed Siraj আজ ভারতের তুরুপের তাস, Dhoni র পরামর্শেই বদলেছেন তিনি
মহম্মদ সিরাজ, এই নামটাই এখন ঘুরছে ভারতীয় ক্রিকেট ফ্যানেদের মুখে। ২৭ বছরের হায়দরাবাদি পেসার ভারতীয় পেস আক্রমণের তুরুপের তাস। কোহলিদের লর্ডস টেস্ট জয়ের নেপথ্যের অন্যতম নায়ক। ১২৬ রানে আট উইকেট নেওয়া সিরাজ ইংরেজ ব্যাটসম্যানদের ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছেন। নিঃসন্দেহে টেস্ট বোলার হিসেবেও নিজেকে প্রমাণিত করেছেন তিনি।
গতবছর ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার মাঠে ভারতের জার্সিতে টেস্ট অভিষেক করে ইতিহাস লেখেন সিরাজ। এক অনন্য রেকর্ড করেন তিনি। প্রথম ভারতীয় বোলার হিসেবে অভিষেক ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মাঠে ৫ উইকেট নেন তিনি।
লর্ডসে কপিল দেবকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন সিরাজ। কপিলই নয়, আরপি সিং, ভেঙ্কটেশ প্রসাদের মতো প্রাক্তন বোলিং তারকাদেরও পিছনে ফেলে দিয়েছেন সিরাজ।ক্রিকেট মক্কা লর্ডসে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ পারফরম্যান্সের নজির গড়লেন সিরাজ। ৪০.৫ ওভার বল করে ১২৬ রান দিয়ে সিরাজের শিকার ৮ উইকেট। ১৯৮২ সালে এই মাঠে ৫৩ ওভার বল করে ১৬৮ রান দিয়ে ৮ উইকেট নেন কপিল। এরপর ২০০৭ এ আরপি সিং ৩৩.৩ ওভার বল করে ১১৭ রানের বিনিময়ে নেন ৭টি উইকেট।
চলতি ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজে শুধুই চর্চায় আসেনি সিরাজের বোলিং, কথা হয়েছে Finger on Lips সেলিব্রেশন নিয়েও। ব্যাটসম্যানকে আউট করার পরই সিরাজ নিজের মুখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছেন, বাকিরা যেন মুখ বন্ধ রাখে! সিরাজ বলেছেন, "এই সেলিব্রেশনের স্টাইলটা বেছে নিয়েছি আমার নিন্দুকদের জন্য। কারণ তাঁরা আমার ব্যাপারে প্রচুর কথা বলেন। যদিও সে ব্যাপারে আমার কোনও হাত নেই। তো আমি ঠিক করেছি আমার বলেই উত্তর দেব।"
সিরাজ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নিজের বোলিংয়ের পরিকল্পনা ছকে ফেলেছেন। তিনি বলেছেন,"ইংল্যান্ডে ফাস্ট বোলারদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। আমরা ধারাবাহিক লেন্থে বল করে যাচ্ছি। আর একটা লেন্থে বল করার টার্গেটই আমার থাকে। সেই রঞ্জি ট্রফি থেকে এটা আমি করে আসছি। তবে একটা জায়গায় টানা বল করতে চাই না।"
সিরাজ দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক ভাবে পারফর্ম করে গিয়েছেন। কিংবদন্তি ধোনির দেওয়া পরামর্শেই আজ বদলে গিয়েছেন তিনি। গতবছর আইপিএলে ধোনির থেকে গুরুমন্ত্র পেয়েছিলেন সিরাজ। তিনি বলেছিলেন,"মাহি ভাই (এমএস ধোনি) আমাকে বলেছিলেন, আমি যেন সবার মতামত না নিই। তিনি বলেছিলেন একটা খারাপ ম্যাচের পরেই লোকে এসে বলতে শুরু করে দেবে যে, আমি ভাল নই। এগুলো নিয়ে মাথা ঘামালে পাগল হয়ে যেতে হবে। আবার পরের ম্যাচেই ওই লোকগুলো এসেই আমার প্রশংসা করবে ভাল করেছি বলে।"