রান্নাঘর থেকে খাবার `চুরি` করে সোজা মগডালে! বাঁদরের `বাঁদরামি`তে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী
নিজস্ব প্রতিবেদন : কখনও বাড়ির দোরগোড়ায় ঢুকে যাচ্ছে! কখনও আবার রান্নাঘর থেকে খাবার 'চুরি' করে নিয়ে সোজা গাছের মগডালে চড়ে বসছে! আবার কখনও দোকান থেকে চোখের পলকে খাবার লুফে নিয়ে ধাঁ!
বাঁদরের এহেন 'তাণ্ডবে'ই ত্রাহি ত্রাহি রব জুড়েছে মালবাজারবাসীর একাংশ। খাবারের খোঁজেই মূলত জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে ভিড় জমাচ্ছে বাঁদরের দল। আর তাতেই আতঙ্কে ঘুম উড়তে শুরু করেছে মালবাজারের ক্রান্তির কাঠামবাড়ি, চেংমারী, কাঠালগুড়ি, বারোঘরিয়া এলাকার বাসিন্দাদের।
তাঁদের কথায়, আপালচাঁদ এবং সংলগ্ন বনাঞ্চল থেকেই বাঁদরের দল পাড়ি জমাচ্ছে লোকালয়ে। স্থানীয় এক বাসিন্দা ওয়ারেসুল হকের কথায়, বাঁদরের 'উপদ্রবে' বিশেষ করে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
চোখের পলক পড়তে না পড়তেই দোকান থেকে খাবার জিনিস নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে বাঁদরের দল। ওদিকে রাস্তায় বাঁদরের 'উত্পাত' বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কে শিশুরাও। রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে ভয় পাচ্ছে সাধারণ মানুষ থেকে স্কুলপড়ুয়ারা।
কিন্তু জঙ্গল থেকে লোকালয়ে হঠাত্ করে এভাবে বাঁদরের দলের চলে আসার কারণ কী? এবিষয়ে আলোকপাত করেছেন পরিবেশপ্রেমী তথা হিমালয়ান ইকোলজি কনজারভেশন ফাউন্ডেশনের সদস্য নন্দলাল বোস।
তিনি বলেন, "অনেক ক্ষেত্রেই বনাঞ্চলে বাঁদরের উপযোগী ফলমূল এবং খাবারের অভাব হচ্ছে। এদিকে বাঁদরের সংখ্যাও বাড়ছে। আর তাই সহজলভ্য খাবারের লোভেই লোকালয়ে চলে আসছে তারা।"
এবিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে নন্দলাল বোস আরও বলেন যে, এটা কখনও কাম্য নয়। এইভাবে লোকালয়ে বাঁদরের দল চলে আসলে, স্বাভাবিকভাবেই স্থানীয় বাসিন্দাদের সমস্যা বাড়বে। এব্যাপারে স্থানীয় বন দফতরের আধিকারিকরা যাতে কোনও ব্যবস্থা নেন, তাই তাঁদের সাথে কথা বলবেন বলে জানান তিনি।