আফ্রিকার ক্ষুধার্ত সিংহ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কাতার, ঢেউ জাগবে কি মরক্কোর সৈকতে?

Soumitra Sen Wed, 14 Dec 2022-4:16 pm,

মরক্কো আটলান্টিক মহাসাগর তীরবর্তী একটি দেশ যার উত্তরে ভূমধ্যসাগর ও আটলান্টিক মহাসাগর সংযোগকারী জিব্রাল্টার প্রণালী অবস্থিত। এর উত্তরে স্পেনের জলসীমা, পূর্বে আলজেরিয়া, দক্ষিণে পশ্চিম সাহারা। পশ্চিম সাহারা মরোক্কো ও মৌরিতানিয়ার এক অমীমাংসিত সীমান্ত অঞ্চল যার পুরোটাই মরোক্কোর দখলে।

মরক্কো ফরাসি উপনিবেশ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে ১৯৫৬ সালে। বাদশা দ্বিতীয় হাসান সিংহাসনে বসেন ১৯৬১ সালে। ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত শাসনকার্য চালান তিনি। ১৯৯৯ সালে বাদশা ষষ্ঠ মুহাম্মদ ক্ষমতায় আসীন হন। ২০১০ সালের আরব বসন্ত দ্বারা প্রভাবিত হয়ে জনগণের চাপের মুখে এক নতুন সংবিধানের সূচনা হয়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সাদ ইদ্দিন এলওসমানি ২০১৭ সালে বাদশাকর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। মরক্কোই ছিল প্রথম দেশ, যারা ১৭৭৭ সালে স্বাধীন হওয়া নতুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এক স্বাধীন জাতি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। আমেরিকান বিপ্লবের শুরুতে আটলান্টিক মহাসাগরে মার্কিন ব্যবসায়িক জাহাজগুলি বার্বার জলদস্যুদের দ্বারা আক্রমণের শিকার হয়। ১৭৭৭ সালের ২০ ডিসেম্বর মরক্কোর সুলতান তৃতীয় মোহাম্মদ ঘোষণা করেন, মার্কিন বণিক জাহাজগুলি নিরাপদ সমুদ্রপথ উপভোগ করতে পারবে। ১৭৮৬ সালে স্বাক্ষরিত হয় মরোক্কা-মার্কিন বন্ধুত্বের চুক্তি।

মরোক্কোতে বেড়াতে আসা বেশিরভাগ পর্যটকই ইউরোপীয়। এর মধ্যে আবার মোট পর্যটকের প্রায় ২০ শতাংশই ফরাসি নাগরিক! মরক্কোতে তুলনামূলকভাবে বেশি সংখ্যক পর্যটক আসা তার অবস্থানের কারণে; মরক্কো ইউরোপ মহাদেশের কাছাকাছি অবস্থিত এবং দেশটিতে রয়েছে দীর্ঘ এক সমুদ্রসৈকত। স্পেনের কাছাকাছি হওয়ার কারণে দক্ষিণ স্পেনের উপকূলীয় অঞ্চলের পর্যটকেরাও মরক্কোতে বেড়াতে আসেন। 

মরক্কোর মূল শক্তি তাদের রক্ষণভাগ। তবে এই দলটির ফুটবলারদের দক্ষতাও নজরকাড়া। মরক্কোর দলটিতে বেশ কজন ক্লাব তারকাও আছেন-- হাকিম জিয়েশ যিনি চেলসির হয়ে খেলেন, এর আগে আয়াক্সের হয়ে খেলে ফুটবলবিশ্বে নজর কেড়েছিলেন তিনি। যেমন, আশরাফ হাকিমি। তিনি এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা উইংব্যাক। মাদ্রিদে জন্ম নেওয়া এই তারকা ফুটবলার এখন ফ্রান্সের প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের হয়ে খেলেন, কিলিয়ান এমবাপের সতীর্থ তিথি।

 

মরক্কো কীভাবে এই পর্যায়ে এসে পৌঁছল? এই প্রশ্নের জবাবে মরক্কো কোচ ওয়ালিদ রেগরাগুই বলেন, আমরা একটা দলীয় ঐক্য গড়ার চেষ্টা করেছি। ফুটবলারদের দারুণ অবদান আছে। তবে দলটির স্পিরিটই দলটিকে এই পর্যায়ে আসতে সাহায্য করেছে।

এবারে যদি জেতে ফ্রান্স, তবে, ফ্রান্স পরপর দুটি বিশ্বকাপ জিতবে। তবে, মরক্কো নিশ্চয়ই ফ্রান্সের ইতিহাস গড়ার দিকে ততটা মন দেবে না, যতটা নিজেদের নাম ইতিহাসে লেখাতে মন দেবে। 

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link