Mosquito Killer: Dengue, Malaria, Zika virus এর প্রকোপ থেকে বাঁচতে প্রয়োজন সচেতনতা এবং কয়েকটি নিয়ম
নিজস্ব প্রতিবেদন: মশা এমন একটি সমস্যা যা কম-বেশি সকলকেই মুখোমুখি হতে হয়। বর্ষাকাল মানেই টানা বৃষ্টি আর এখানে সেখানে জমে থাকা জল। বর্ষার রোম্যান্টিকতার মাঝেই মশার জন্ম, জমে থাকা জলেই মশার উৎপত্তি।
মশার কামড় থেকে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি, চিকুনগুনিয়ার মতো নানা রোগও হয়। হাজারও সচেতনতা প্রচার করা সত্ত্বেও মশার উৎপাত এখনও কমেনি। অথচ চাইলেই মশার উপদ্রুব কমানো যেতে পারে কয়েকটি নিয়ম পালন করেই।
কারুর যদি শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকে, তিনি যেন এই স্প্রে করার সময়ে কাছে না আসেন। তবে স্প্রে করার পরে অন্তত তিন ঘণ্টা সেই এলাকায় না থাকা ভাল। এছাড়াও বাজারে যে মশার স্প্রে পাওয়া যায় তা ব্যবহার করার সময় অবশ্যই সেই জায়গা থেকে দূরে থাকবেন কিছুক্ষণের জন্য।
মশা জন্মে গেলে ভরসা রাখতে পারেন মশার স্প্রের ওপরে। পুরসভা থেকে অনেক সময়েই বাড়ি বাড়ি এসে মশার ওষুধ স্প্রে করে দিয়ে যায়। এতে মশা মরে যায়। কিন্তু যে সব জায়গায় সেই সুবিধে নেই, সেখানে নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে মশার স্প্রে কিনে ব্যবহার করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখুন, স্প্রে কনটেনারের গায়ে যে সতর্কতা লেখা আছে, তা যেন অবশ্যই মেনে চলা হয়।
মশা মারতে বাড়ির চারপাশে ইলেকট্রিক ইনসেক্ট ট্র্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। এটি খুবই কাজের। তবে এই ট্র্যাপ থেকে নিজেদেরও সাবধানে থাকতে হবে। বাড়িতে শিশু থাকলে তার থেকে অবশ্যই এই ট্র্যাপ দূরে রাখুন। খেয়াল রাখবেন যাতে, ইলেকট্রিক শক না লাগে।
মশা মারার জন্য কর্পূর, কোথাও রসুন ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া এ ক্ষেত্রে কফির গুঁড়ো, ল্যাভেন্ডারের তেল, প্যদিনা পাতাও বেশ উল্লেখযোগ্য। মশা মারার জন্য একটি বাটিতে কর্পূর নিয়ে সেটি জ্বালিয়ে দিন। দরজা ও জানালা বন্ধ সেই ঘরে জ্বলন্ত কর্পূরের রেখে দিন। এ বার আধ ঘণ্টা পরে গিয়ে দেখবেন, সেই ঘরে একটাও মশা নেই।
বাড়িতে গাছ লাগানোর মতো জায়গা থাকলে, মশা বিনাশকারী গাছ লাগাতে পারেন। এর জন্য যে ঘরে মসকিউটো রেপেল্যান্ট গাছ থাকবে, সেখানে আলাদা করে স্প্রে করারও দরকার পড়বে না। এর জন্য বেছে নিতে পারেন সিন্ত্রোনেল্লা, লেমন বাম, গাঁদা, বেসিল বা তুলদি, ল্যাভেন্ডার, রোজমেরি ইত্যাদি গাছ। মশা কামড়ালে এই ধরনের গাছের পাতা ঘষে তার রস গায়ে লাগালেও আরাম পাওয়া যায় তৎক্ষণাৎ।