লক্ষ্য মতুয়া ভোট, তৃণমূল-বিজেপি তাল ঠোকাঠুকি ঠাকুরনগরে
কমলিকা সেনগুপ্ত: লোকসভা ভোটের আগে মতুয়া ভোট নিয়ে শুরু হয়েছে বিজেপি-তৃণমূলের দক্ষযজ্ঞ। খোদ প্রধানমন্ত্রীও দিল্লি থেকে উড়ে এসে ঠাকুরনগরে সভা করলেন। সভায় স্মরণ করিয়ে দিলেন ওপার থেকে অত্যাচারিত হয়ে আসা মানুষদের নাগরিকত্ব দিতে বিল পেশ করেছেন সংসদে। তৃণমূলকে সমর্থন দেওয়ার আবেদনও রাখলেন নমো।
হাতে গোনা কয়েকটা দিন। লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে দেবে নির্বাচন কমিশন। শনিবার মতুয়াদের সভা দিয়ে রাজ্যে ভোট-প্রচারের সূচনা করলেন নরেন্দ্র মোদী। বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে হার-জিতের ফারাক গড়ে দিতে পারে মতুয়া সম্প্রদায়। শুধু বনগাঁই নয়, রাজ্যের ৬০টি বিধানসভায় রয়েছে মতুয়াদের ভোট।
শনিবার ঠাকুরবাড়িতে গিয়ে বড়মার সঙ্গে দেখা করে আসেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর পায়ে হাত দিয়ে প্রণামও করেন।
মতুয়া ভোটকে ইভিএমে টানতে বড়মার নাতি শান্তনু ঠাকুরের উপরে ভরসা করছে বিজেপি। মূলত তাঁর উদ্যোগে সভাতেই হাজির হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। যদিও বিশৃঙ্খলার জেরে ভাষণ অসমাপ্ত রেখে সভামঞ্চ ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী।
মতুয়াগড় ধরে রাখতে মরিয়া তৃণমূল। ঠাকুরনগরের রাস্তায় ভরে গিয়েছে মমতার পোস্টার, ব্যানার ও তৃণমূলের পতাকায়।
পিছিয়ে নেই বিজেপিও। পাল্লা দিয়েছে তাদের পোস্টার, ব্যানারও। আর পোস্টারেই চলছে মোদী বনাম মমতা যুদ্ধ।
মোদীর আসার আগেই ঠাকুরনগরে মিছিল করেছিল বিজেপি। শনিবার সভা শেষের পরও তারা মিছিল করে তারা। আগামী কয়েকদিন লাগাতার মিছিল হবে বলে জানিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি জানান, ৬ ফেব্রুয়ারি ওই মাঠেই সভা করবে তৃণমূল।
বনগাঁ আসনে বিজেপির প্রার্থী হতে পারেন শান্তনু ঠাকুর। তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা। যিনি সম্পর্কে আবার শান্তনুর জেঠিমা। ফলে বনগাঁ লোকসভার জনাদেশ নির্ভর করছে ঠাকুরবাড়ির উপরেই।