`#MeToo-র জন্য দায়ী কর্মরতা মহিলারাই`, শোরগোল ফেললেন `শক্তিমান`
#MeToo-র জন্য দায়ী কর্মরতা মহিলারাই', সম্প্রতি এমন মন্তব্য করে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন 'শক্তিমান' খ্যাত অভিনেতা মুকেশ খান্না। তিনি বলেন, ''#MeToo মুভমেন্ট শুরু হয়েছিল, কারণ মহিলারা নিজেকে পুরুষের সমান ভাবা শুরু করেছিলেন। ''
এখানেই থামেননি মুকেশ খান্না। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ''আমায় ক্ষমা করবেন, আমি কখনও কথা বলে ফেলি। মহিলাদের আসল কাজ হল ঘরের যত্ন নেওয়া। মিটু-র সমস্যা তখন থেকে শুরু হয়েছিল, যখন মহিলারা কাজ করা শুরু করেছিলেন। পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কথা বলা শুরু করেছিলেন''। প্রিয় 'শক্তিমান'-এর এহেন মন্তব্যে বেজায় চটেছেন নেটিজেনদের একাংশ।
বেজায় বিরক্ত এক নেটিজেন লিখেছেন, ''এই মানুষটি অসুস্থ। ওনার কথা সংক্ষেপে বললে, মহিলারা যদি কাজের জন্য বাইরে পা রাখেন তহলে পুরুষরা তাঁদের উপর যৌন নির্যাতন করতে পারেন? মহিলারা যদি সুরক্ষা চান তবে তাদের বাড়িতে থাকা উচিত। আপনার লজ্জা হওয়া উচিত।''
এক নেটিজেন লিখেছেন, ''আমার এখন মনে হচ্ছে আমার শৈশবকাল থেকে অনেক মূল্যবান সময়টি শক্তিমান দেখার জন্য নষ্ট হয়ে গেছে এই বিষয়টি ভীষণই বেদনাদায়কভাবে উপলব্ধি''।
বেজায় বিরক্ত এক মহিলা লিখেছেন, ''আ লে! বেচারা, ওনার জীবনে উনি কখনও কোনও উপযুক্ত মহিলা খুঁজে পান নি। এমনকি মেটু কেসও নয় !! কারণ মেয়েদের জীবনে ওনার থেকে অনের বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থাকা উচিত!! ''
একজন লিখেছেন, ''আপনি না হয় একজন নায়ক মেরে ফেলুন, নাহলে সারা জীবন এক ভিলেনকে দেখার জন্য বেঁচে থাকার প্রস্তুতি নিন।
এক নেটিজেন লিখেছেন, ''জানেন কি শক্তিমানের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা ছিল তাঁর মানসিকতা''।
অতীতের গৌরব কীভাবে বিপজ্জনক হতে পারে তার উদাহরণ হলেন মুকেশ খান্না। তিনি মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করছেন, যা ভীষণই হতাশার। তিনি কিছু বৈধতা পেতে চাইছেন। নায়ক হিসাবে তিনি কখনওই প্রশংসা পান নি। এই ধরণের পুরুষদের কথাবার্তা তুলে ধরা বন্ধ হোক।