`যখন বলার, তখন বলব`, `অন্য সুর` বিধায়ক Mukul-র গলায়
নিজস্ব প্রতিবেদন: সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনেই স্বচ্ছন্দবোধ করেছেন বরাবর। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হননি কখনও। একুশের ভোটে জিতে প্রথমবার বিধায়ক হলেন মুকুল রায়। বিধানসভায় দ্বিতীয় দফায় শপথগ্রহণের দিন আলোচনার কেন্দ্রে থাকলেন বঙ্গ রাজনীতির 'চাণক্য'। 'ঘর ওয়াপসি'র ইঙ্গিতও কি দিলেন? জোর আলোচনা চলছে রাজনৈতিক মহলে।
২০০৬ সাল থেকে টানা দু'বার রাজ্যসভার সাংসদ। শেষ কবে ভোট দাঁড়িয়েছিলেন? তখন তিনি তৃণমূলে। ২০০১-এ জগদ্দল থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন মুকুল রায়। সেবার হেরে গিয়েছিলেন।
তারপর এই ২০২১। কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রে মুকুল রায়কে প্রার্থী করে বিজেপি। তৃণমূলের তারকা প্রার্থী কৌশানী মুখোপাধ্যায়কে হারিয়ে এবার চলে এলেন বিধানসভায়।
এদিন বিজেপি অন্যন্য বিধায়কদের শপথ নিলেন মুকুল। শেষপর্যন্ত গেরুয়াশিবিরেই থাকবেন তো? জল্পনা কিন্তু জিইয়ে রাখলেন পুরোমাত্রায়।
বিধানসভা ঢোকার মুখে প্রথমে চোখাচোখি হল তৃণমূল সুব্রত বক্সীর সঙ্গে। সৌজন্য বিনিময় করলেন দু'জনে। প্রাক্তন সতীর্থকে নির্দিষ্ট আসনের দিকে যাওয়ার পথ দেখিয়ে দিলেন সুব্রত।
গেরুয়াশিবিরের অন্দরের খবর, বিরোধী দলনেতা হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে শুভেন্দুই। প্রথম কারণ, অবশ্যই নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানো। দ্বিতীয়ত তাঁকে 'জননেতা' হিসেবে মেনে নিয়েছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে, মুকুল রায়ের নামও কিন্তু উঠে আসছে।
মুকুল যখন বিধায়ক হিসেবে শপথ নিচ্ছেন, তখন বিধানসভায়ও শোনা গেল, নেতা হতে হবে! কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক ভাবলেশহীন।
এখানে শেষ নয়। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে বিধানসভার বিরোধীদের নির্দিষ্ট কক্ষে বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করেন দিলীপ ঘোষ। সেই বৈঠকেও দেখা গেল না মুকুল রায়কে। কেন? জবাব এল, 'এখন কিছু বলব না। যখন বলার, তখন বলব'।