Jalpaiguri: নির্দল হিসেবে লড়তে গিয়ে বিবাদ; হাইকোর্টেও গড়িয়েছিল মামলা, তৃণমূল নেতার মান ভাঙালেন অরূপ বিশ্বাস
পুলিসের বিরুদ্ধে মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন জলপাইগুড়ি পুরসভার তৃণমূল নেতা মলয় বন্দ্যোপাধ্য়ায়। নির্দল হিসেবে ভোটে দাঁড়ানোয় বাধা দেওয়ার অভিযোগে উঠেছিল। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিক্ষুব্ধ এই তৃণমূল নেতা। এবার তাঁর মান ভাঙালেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
দলে টিকিট না পেয়ে জলপাইগুড়ির ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্দল হিসেবে লড়াই করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন মলয় বন্দ্যোপাধ্য়ায়। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে তিনি যাতে নির্বিঘ্নে মনোনয়ন জমা দিতে পারেন তার নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি রবি কিষান কাপুরের সিঙ্গল বেঞ্চ।
মলয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ ছিল, তৃণমূলের অঙ্গুলীহেলনে পুলিস তাঁকে মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দিয়েছে। মামলার শুনানিতেই আদালত জানায়, মনোনয়নে বাধা দেওয়া যাবে না ওই প্রার্থীকে। এখনই তাঁর মনোনয়নের ব্যবস্থা করতে হবে জেলাশাসককে। এমনকি ওয়েবসাইট থেকে রায়ের কপির জন্য অপেক্ষা না করে এই নির্দেশ যাতে তড়িঘড়ি কার্যকর করা হয় সেই নির্দেশও দেন বিচারপতি।
দলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী মলয় মুখোপাধ্যায়। দলের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে জলপাইগুড়ি পুরসভার পরিচিত মুখ মলয়বাবু। তাঁর মনোনয়ন নিয়ে আইন-আদালত হওয়ায় কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে যায় দলও। এনিয়ে উত্তেজনাও তৈরি হয় পুরসভায়।
সেই সমস্য়া মেটাতে বুধবার দলীয় বৈঠকের আগে মলয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাছে ডেকে নেন অরূপ বিশ্বাস। তাঁর সঙ্গে বেশকিছুক্ষণ কথাও বলেন। তাঁর হাত ধরে নির্বাচনী সভাতেও নিয়ে আসেন।
দলীয় সূত্রে খবর, মলয়বাবুর অভিমান ভাঙিয়ে তাঁকে জলপাইগুড়ির ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে প্রার্থী হিসেবে প্রচার চালানোর কথাও বলেন অরূপ বিশ্বাস।