Tv Actress Rupali Ganguly: `আমাদের অনুপস্থিতিতে মায়ের গয়না চুরি হত,` রুপালীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সৎ মেয়ে এষা...

Rajat Mondal Sun, 10 Nov 2024-4:33 pm,

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিখ্যাত অভিনেত্রী রুপালী গাঙ্গুলির স্বামী অশ্বিন বর্মার প্রথম মেয়ে এষা বর্মা সম্প্রতি তার জীবনের এক অজানা সত্য তুলে ধরেছেন। এষার অভিযোগ যে তার পিতা অশ্বিন বর্মা তাকে ও তার মাকে অবহেলা করেছেন এবং রুপালী গাঙ্গুলীর ব্যবহার তাদের জন্য অসহ্য হয়ে উঠেছিল। এক সাক্ষাৎকারে এষা জানিয়েছেন কিভাবে রুপালী ও তার বাবা তাকে দীর্ঘদিন চুপ থাকতে বাধ্য করেছিলেন এবং এষা ও তার মা কীভাবে এই পরিস্থিতিতে দিনের পর দিন এসব সহ্য করেছিলেন।

এষা বলেছেন, 'বছরের পর বছর আমি চুপ ছিলাম, কারণ আমার বাবা অশ্বিন ও রুপালী গাঙ্গুলি আমাকে ঘরের ভিতরের কথা বলতে দেননি। তখনও রুপালী অভিনেত্রী হিসেবে খুব একটা পরিচিত ছিল না, কিন্তু আমার মাকে বিচার পাওয়ানোর জন্য আমি তখনই সত্যিটা প্রকাশ করতে চেয়েছিলাম।'

 

এষা আরও জানান, 'আমি আমার বাবাকে খুব ভালোবাসতাম, কিন্তু বাবা যখন নিজের সন্তানকেও স্বীকার করেননি, যা অত্যন্ত কষ্টের। আমার বাবা মদ্যপ ছিলেন, প্রতিদিন ধূমপান করতেন এবং প্রায়ই মিথ্যা কথা বলতেন। আমি ছোটবেলায় দেখেছি তিনি প্রায়ই বাইরে গিয়ে রুপালী গাঙ্গুলির সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন, আমি জিজ্ঞেস করলে আমাকে বলত যে তিনি নাকি কোনও বন্ধুর সঙ্গে কথা বলছে, কিন্তু আমি তাদের কথা বলতে শুনেছি, যা আমাকে তখনই আমাকে মানসিকভাবে ভেঙে দিয়েছিল। এসব ২০০০ সাল থেকে চলছে।'

 

এষা জানান, 'আমরা খুবই কম ভারতে আসতাম, তবে আমরা যখনই ৫ বছরে হয়ত একবার দাদু-দিদার বাড়িতে বেড়াতে আসতাম, তখন রুপালী বাবাকে বারবার ফোন করতেন এবং বাবার প্রতি অতিরিক্ত অধিকার দেখাতেন।'

 

এষার অভিযোগ, 'রুপালী গাঙ্গুলি আমার মায়ের উপার্জিত টাকায় কেনা গয়না চুরি করতেন। যখন আমরা বাড়িতে থাকতাম না, বাবা রুপালীকে নিয়ে আসতেন এবং আমাদের অনুপস্থিতিতে মায়ের গয়না চুরি হত।' ইশার অভিযোগ, 'বাবা রুপালীকে অনেক দামী দামী উপহার দিতেন এবং তার মাকে বাজার-সামগ্রী কেনার টাকার জন্য বাবার কাছে ভিক্ষা চাইতে হত।' 

 

তিনি দুঃখের সঙ্গে জানান, 'আমি একজন সন্তান হয়ে যা যা করার তাই করেছি তবুও কোনওদিন বাবা এবং পরিবারের স্নেহ-ভালোবাসা পাইনি, এমনকি আমি পোস্টও করেছিলাম এটা বোঝানোর জন্য যে রুপালী গাঙ্গুলিও আমাদের পরিবারেরই একজন। কিন্তু এর ভিতরের সত্যিটা খুবই ভয়াবহ।'

এষা বলেন, 'আমার একটা ফটোশুট করার খুব ইচ্ছে ছিল এবং সেটা বাবাকে আবদার জানাই আমি, বাবা এই কথা রুপালীকে বললে রুপালী আমার সামনে আমার ওজন, চেহারা নিয়ে খারাপ মন্তব্য করেন এবং আমাকে ‘কুৎসিত হাঁসের ছানা’ বলেন। তখন আমার মাত্র ১২ বছর, এসব ঘটনা আমাকে আজও কষ্ট দেয়।'

এষা আরও জানান, 'এখন আমি অনেক শান্তিতে এবং আনন্দে জীবন কাটাচ্ছি তবে অনেক কষ্ট, লাঞ্ছনা, ঝড় কাটিয়ে আজ এতদূর এসেছি। রুপালী গাঙ্গুলি আমাকে এমনকি মৃত্যুর হুমকিও দিতেন। যদি আমি ভারতে থাকতাম, তাহলে এটি আমার জন্য ভীষণ বিপজ্জনক হতে পারতো। তবে এখন আমি নিরাপদে আছি এবং একটি সুন্দর জীবন কাটাচ্ছি।'

 

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link