ঠিক সূর্যাস্তের মুহূর্তেই হিরণ্যকশিপুকে হত্যা করলেন ভগবান নৃসিংহদেব
বৈশাখী শুক্ল চতুর্দশীতে নৃসিংহ জয়ন্তী পালিত হয়। ভগবান নৃসিংহদেব হলেন বিষ্ণুর চতুর্থ অবতার। এই দিনটিতেই বিষ্ণু নৃসিংহরূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন।
নৃসিংহ মূর্তি আশ্চর্যের, ভয়ঙ্করও। অর্ধেক সিংহ অর্ধেক মানুষের মূর্তি। এই মূর্তিতে তিনি দৈত্যরাজ হিরণ্যকশিপুর সামনে আবির্ভূত হয়েছিলেন। হিরণ্যকশিপুকে তিনি হত্যাও করেছিলেন।
শাস্ত্রমতে, বৈশাখী শুক্ল চতুর্দশীর সঙ্গে স্বাতী নক্ষত্রের যোগাযোগ দারুণ দুর্লভ ও পবিত্র এক সন্ধিক্ষণ। এদিন নৃসিংহ জয়ন্তী ব্রত পালনে অধিক ফললাভ হয়।
এ বছর নৃসিংহ জয়ন্তী আজ মঙ্গলবার, ২৪ মে, ১০ জৈষ্ঠ্য। পরের দিন, অর্থাত্, বুধবার এর পারণ। ভোর ৫.২৫-এর পরে। আসলে সূর্যোদয়ের আগে চতুর্দশী শেষ। এ বছর চতুর্দশী তিথি শুরু হয়েছে রাত ১২টা ১১ মিনিটে। থাকছে রাত ৮.২৯ মিনিট পর্যন্ত। এর মধ্যে রয়েছে সায়ন কলা পূজা। যার লগ্ন বিকেল ৪টে ২৬ মিনিট থেকে সন্ধে ৭.১১ মিনিট পর্যন্ত।
এই ব্রতের উপবাস একাদশীর মতোই। ব্রতধারী ভক্তেরা সারাদিনে একবারই খাবেন। ব্রতভঙ্গ, যাক পারণ বলা হচ্ছে, তা হবে পরদিন।
ভক্ত প্রহ্লাদের নাম দিনটির সঙ্গে বিশেষ ভাবে জড়িত। দৈত্যকুলে তাঁর জন্ম। অথচ, তিনি বিষ্ণুভক্ত। পিতা দৈত্য হিরণ্যকশিপু তাই নানা ভাবে তাঁর ক্ষতি করতে চান। কখনও হাতির পায়ের তলায় ফেলেন ছেলেকে, কখনও পাহাড় থেকে নীচে ফেলেন। কিন্তু বিষ্ণু প্রতি বারই ভক্তকে রক্ষা করেন। এদিন মধ্যাহ্নে ভক্তেরা সঙ্কল্প করেন এবং সূর্যাস্তের আগেই পূজা সারেন। বিশ্বাস, ভগবান নৃসিংহ ঠিক সূর্যাস্তের সময়েই আবির্ভূত হন। বলা হয়, এদিন রাত্রিজাগরণ ভাল। এবং পরের দিন ভোরে বিসর্জন পূজার বিধি। এই পূজার পরে ব্রাহ্মণকে দান করে ব্রতভঙ্গ।