ময়নাগুড়িতে তৃণমূলকে বিধ্বংসী আক্রমণ মোদীর, জেনে নিন ২০টি সেরা মন্তব্য

Fri, 08 Feb 2019-7:26 pm,

ফালাকাটায় চার লেনের রাস্তার শিলান্যাস করা হয়েছে। শিলিগুড়ি যাওয়ায় সুবিধা হবে। আপনাদের সমস্যার সমাধান করেনি বাম, কংগ্রেস বা তৃণমূল। জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের পদক্ষেপ করা হয়েছিল ২০ বছর আগে। ১৩-১৪ বছর আগে অনুমোদন দিয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এতদিন পর আপনাদের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। গরিবদের সুরাহার কথা ভাবে না  অসংবেদনশীল সরকার। 

উত্তরবঙ্গের সঙ্গে আমার সম্পর্ক রয়েছে। আপনারা উত্পাদন করেন। আমি চা তৈরি করি। এখানকার চা, দেশ ও দুনিয়ার মানুষ পান করেন। চায়ের কথা বলতে গিয়ে প্রশ্ন আসে, চাওয়ালাকে নিয়ে এত ক্ষুব্ধ কেন দিদি? 

আপনারা সবাই জানেন, শিলিগুড়ি পুরসভার বিমাতৃসুলভ আচরণ করা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। যুবকরা পালাচ্ছেন। আর এমন হালের পরও এদের কোনও পরোয়া নেই। 

পশ্চিমবঙ্গের সরকার এখানকার মাটিকে বদনাম করে দিয়েছে। কলা-সংস্কৃতির জন্য পরিচিত ছিল বাংলা। এখন হিংসা ও গণতন্ত্রের জন্য পরিচিত। টি-টিম্বার ও ট্যুরিজম- তিনটিই অবহেলিত। বামপন্থীদের সরকার হোক, বা বামপন্থী পার্ট টু টিএমসির সরকার হলেও অবস্থার বদল হয়নি। এলাকার উন্নয়নে নজর দেওয়া হয়নি। 

বন্ধ চা বাগানগুলি খুলিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। চা বাগানে কাজ করা শ্রমিকদের জন্য নতুন প্রকল্প এসেছে বাজেটে। এমন প্রকল্প স্বাধীনতার পর কখনও আসেনি। চায়ের বাগানে কাজ করা ভাই-বোনেরা পেনশনের সুবিধা পাবেন। প্রধানমন্ত্রী শ্রম যোগী মান ধন যোজনার মাধ্যমে ৪০-৪২ কোটি অসংগঠিত শ্রমিকরা ৬০ বছরের পর ৩ হাজার টাকার পেনশন পেতে চলেছেন। মাসে ৫ থেকে ১০ হাজার আয় করলে এই প্রকল্পের সুবিধা মিলবে। এজন্য ১০০ টাকা প্রতি মাসে দিতে হবে। সমপরিমাণ অর্থ দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। 

গরিবদের সকল সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে যা আগে কখনও করা হয়নি। এক টাকা প্রতি মাসে ও ৯০ পয়সায় প্রধানমন্ত্রী জীবনজ্যোতি যোজনা ও প্রধানমন্ত্রী দুর্ঘটনা বিমা প্রকল্প চলছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রকল্প চালু হয়েছিল। ৩১ কোটি গরিব প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গিয়েছেন। সস্তায় রেশন, ওষুধ পাচ্ছেন- সব ব্যবস্থা দিল্লি থেকে ভারত সরকার করছে। পশ্চিমবঙ্গে ৬৫ হাজারের বেশি পাকা ঘর পেয়ে গিয়েছেন গরিবরা। 

 

মা-মাটি মানুষ সরকারের নামে বামপন্থীদের কুশাসন থেকে মুক্তি দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছিল তৃণমূল। সেটাই রাজনৈতিক সংস্কৃতি বানিয়ে নিয়েছে ওরা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর দিদি। অথচ দাদাগিরি চলছে অন্যদের। টিএমসি শাসনে থাকলেও আসল ক্ষমতা জগাই-মাধাইয়ের। টিএমসি সরকারের সব প্রকল্পে হস্তক্ষেপ করছে দালালরা। অথচ দিল্লি যাওয়ার জন্য ব্যস্ত দিদি। সিন্ডিকেটের হাতে বাংলার গরিব মানুষকে ছেড়ে দিয়েছেন উনি। সিন্ডিকেট থেকে মুক্তি চাই। জগাই-মাধাইয়ের এই জোটকে খতম করতে হবে। হিংসার শেষ হওয়া দরকার। বাংলার যুবকদের খুন-খারাপি থেকে স্বাধীনতা চাই না।

পাশেই ত্রিপুরায় বামপন্থীদের পতাকা উড়ত। ভারতীয় জনতা পার্টির সাধারণ কর্মীরা লাল ঝান্ডাকে দমিয়ে সুখ-শান্তির সূর্য উঠিয়েছেন। ত্রিপুরায় যা হয়েছে সেটা বাংলাতেও হবে। আপনাদের সকলের সহযোগিতায় সবকা সাথ সবকা বিকাশ পশ্চিমবঙ্গে আসবে। জগাই-মাধাইয়ের পলায়ন নিশ্চিত। ভারতের জনতা পার্টির কর্মীরা গুন্ডাগিরির শাসনের সঙ্গে লড়াই জন্য তৈরি। 

হাজার হাজার গরিব মানুষের টাকা লুঠেছে যারা, তাদের বাঁচাতে নেমে গিয়েছেন দেশের মুখ্যমন্ত্রী। এটা দেশের ইতিহাসে প্রথম। গরিবদের টাকা লোপাটকারীদের পক্ষ নিয়ে দিনেদুপুরে ধরনায় বসে গিয়েছেন।গরিবদের যারা লুঠেছে, তাদের বাঁচাতে চাইছেন দিদি। বিদেশে জাতিবিদ্বেষের বিরুদ্ধে সত্যাগ্রহ করেছিলেন মহাত্না গান্ধী। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু ভারতীয়দের একজোট করে আন্দোলন করেছিলেন। আজ পশ্চিমবঙ্গে এমন মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন, যিনি গরিবদের মেহনতের টাকা যারা লুঠেছে, তাদের বাঁচাতে ধরনা দিচ্ছেন।   

পশ্চিমবঙ্গের মানুষ প্রশ্ন করছেন, পীড়িতদের পরিবার প্রশ্ন করছেন, দুর্নীতির তদন্তে আপনি এত ভয় পেয়েছেন কেন? কেন যাদের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ রয়েছে, তাদের জন্য ধরনা দিচ্ছেন। সারদা, নারদা রোজভ্যালির প্রতারণার শিকার প্রতিটি পরিবারকে বিশ্বাস দেওয়াতে চাই, লুঠেরা হোক বা তাদের আশ্রয়দাতা- চৌকিদার কাউকে ছাড়বে না। যতই নেতানেত্রীদের নিয়ে ধরনায় বসুন না কেন, পাই পাইয়ের হিসাব নেওয়া হবে। আপনাদের এই পরিস্থিতির জন্য যারা দায়ী, তাদের বিচারের ব্যবস্থা করে সরকার।  

কলকাতায় দুর্নীতিগ্রস্ত ও দুর্নীতির মদতদাতাদের জন্য মঞ্চ করা হয়েছিল। দুর্নীতিগ্রস্তদের বাঁচাতে কোথায় কোথায় ধরনা দেবেন? দুর্নীতিগ্রস্তদের মাথাব্যাথার কারণ হয়ে উঠেছে এরা। গরিবদের টাকা যারা লুঠেছে, প্রতিরক্ষার দালালদের বিদেশ থেকে উঠিয়ে আনছি। তাদের বাঁচাতে শক্তিক্ষয় করবেন না। 'মহামিলাবটে'র সব দলকে বলতে চাই, দালালদের বাঁচানোর চেষ্টা সফল হতে দেবে না মোদী। 

গতকাল লোকসভায় দেখছিলাম, যেই মুখ খুলেছি হাঙ্গামা শুরু করে দিয়েছে। হাসি বন্ধ হয়ে গিয়েছে ওদের। যখনই দেশকে সত্যি বলি, এরা হাঙ্গামা করতে থাকে। মহাভেজাল জোটের আদর্শ নেই। কোনও ভিশন নেই। পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস নেতা বলছেন, বাংলায় অরাজকতা চলছে, কিন্তু বঢরার শালা দিদিকে সমর্থন দিচ্ছেন। 

আজব পরিস্থিতি! এখানকার সরকার দেশের দুর্নীতিগ্রস্তদের স্বাগত জানাচ্ছে। অনুপ্রবেশকারীদের ঠাঁই দিচ্ছে। অথচ দুনিয়ার সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিজেপিকে আটকানো হয়। স্বামী বিবেকানন্দের মূল্যবোধ ও শ্যামাপ্রসাদের জাতীয়তাবাদের সংকল্প নিয়ে চলি আমরা। 

হেলিকপ্টারে নামতে বাধা, বিজেপি কর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে। এটাই সংকেত দিচ্ছে তৃণমূলের পায়ের তলার জমি সরে গিয়েছে। আগে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের গুন্ডাদের মোকাবিলা করার সাহস কারওর ছিল না। এবার আপনাদের সঙ্গে রয়েছে বিজেপি। 

গুন্ডা ও সিন্ডিকেটরাজ থেকে মুক্তি পাবে পশ্চিমবঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র নেই। তবে হুমকিতে ভয় পান না বিজেপি কর্মীরা। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ট্রেলার দেখিয়েছেন। বুথ লোটার পরও বিজেপি প্রার্থীদের জিতিয়েছেন মানুষ। পশ্চিমবঙ্গের জনতাকে বলতে চাই, প্রতিটি যুব সঙ্গীদের আশ্বস্ত করতে চাই, আপনাদের ভোটাধিকার কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না। দেশের নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নেবে। সুরক্ষা ও নিরাপত্তার গ্যারান্টি দেবে তারা। 

সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার এসেছে বলেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সমস্যা মিটেছে। কারও অভিযোগ থাকলে সেটাও নিষ্পত্তি হবে।

 

মহিলাদের ক্ষমতায়ন চাই আমরা। তিন তালাক চালু করার ঘোষণা করে দিয়েছে কংগ্রেস। তিন তালাকের আইনের বিরোধিতা করছে। বলছে, আমরা এলে আইন বাতিল করে দেব। লক্ষাধিক মুসলিম বোন-মেয়েদের বিশ্বাসভঙ্গ করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস আবার দেখিয়ে দিয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট মানে না ওরা। শীর্ষ আদালত তিন তালাক অসাংবিধানিক ঘোষিত করে দিয়েছে। সাহ বানো মামলায় যে ভুল করেছিলেন রাজীব গান্ধী, সেটা আবার করছে তারা। কী ভয়ঙ্কর পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যান তিন তালাকের শিকার মহিলারা। 

পশ্চিমবঙ্গের অনেক বোনেরা এই ধরনের অত্যাচারের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে তিন তালাক বিরোধী আইন দাবি করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু তোষণের জন্য সব সীমা পার করে দিয়েছে কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলকে জিজ্ঞাসা করছি, আপনি একজন মহিলা, কেন তিন তালাক আইনের বিরোধিতা করছেন? ভোট বেশি দামি না মুসলিম মা-বোনেদের জীবন। সবাইকে প্রতিশ্রুতি দেব, তিন তালাক আইন হঠাতে দেব না। মহিলাদের ন্যায় নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর বিজেপি।  

কখনও ভেবেছি, নেতাজি এত শক্তি কোথা থেকে পেলেন। আন্দামান সেলুলার জেলে গিয়ে বাংলার বীরদের নাম পড়তাম। কালা পানির সাজার পরও বাংলার মাটিতে বিদ্রোহ করতেন তরুণরা। কী আছে এই মাতৃভূমিতে? বাংলার মাটিতে কী দম রয়েছে! এখানে আসার পর বুঝলাম, দিদির জুলুমের পরও এখানে কেউ ভয় পায় না। এত হিংসা, অত্যাচারের পর এত শক্তি ,আপনাদের দেখে মনে হচ্ছে, নেতাজি সুভাষ কেন বাংলার মাটিতে জন্মেছিলেন। এতটাই বীর আপনারা। আপনারা আমাদের প্রেরণা। 

ক্ষমতায় আসার পর কী নীতি তৈরি করা দরকার? কী সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত? গরিব, গ্রাম, শহরের জন্য কী দরকার? তা জানতে আপনাদের পরামর্শ নেব। ওই রথ আপনার কথা শোনার জন্য এখানে এসেছে। আপনারা লিখে রাখুন ওখানে। এমন রথ আরও রয়েছে। সেগুলি বাংলা ঘুরবে। আপনাদের মতামত নেবে।

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link