আর বামন নয়, এক যুগ পর প্লুটো আবার `গ্রহ`
১৯৩০ সালে আবিষ্কারের পর নয়ের দশক পর্যন্ত সব থেকে ছোট গ্রহ নামেই পরিচিত ছিল প্লুটো। কিন্তু নয়ের দশকে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মধ্যে মতভেদ দেখা দেয়। এর পরই শুরু হয় গবেষণা। অবশেষে ২০০৬ সালে গ্রহের মর্যাদা হারায় প্লুটো। হয়ে যায় বামন গ্রহ।
দীর্ঘ ১৩ বছর পর আবার গ্রহের মর্যাদা ফিরে পাচ্ছে প্লুটো। নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্লুটোকে গ্রহ হিসাবেই ধরা হবে আবার।
২০০৬ সালে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোন্মিক্যাল ইউনিয়ন গ্রহের সংজ্ঞা প্রকাশ করেছিল। তাতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছিল, যে কোনও গ্রহের সুস্পষ্ঠ কক্ষপথ থাকতে হবে। কিন্তু সেক্ষেত্রে প্লুটোর কক্ষপথে প্রভাব বিস্তার করে ছিল নেপচুন। ফলে গ্রহ হয়ে ওঠার শর্তাবলী পূরণে ব্যর্থ হয় প্লুটো।
নাসার অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জিম ব্রিডেনস্টাইন ঘোষণা করেছেন, ''আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি যে প্লুটো গ্রহ। সব থেকে ছোট হলেও প্লুটো গ্রহ।'' ২০১৮ সালে নাসার অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন জিম ব্রিডেনস্টাইন। সেই সময় অবশ্য বিস্তর আলোচনা হয়েছিল। কারণ জিম ব্রিডেনস্টাইনের সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ড ছিল না বলে দাবি করেছিলেন অনেকে।
১৯৩০ সালে ক্লাইড টমবাগ প্লুটোকে আবিষ্কার করেছিলেন। সেই সময় প্লুটোকে সৌরজগতের নবম গ্রহ বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। এর পর ২০০৬ সালে বিজ্ঞানীরা দাবি করেন, প্লুটোর আকার চাঁদের থেকেও ছোট। তাই প্লুটোকে বামন গ্রহ বলে ঘোষণা করা হয়।