আকাশ থেকে এল আরেক অবাক করা ছবি
পৃথিবী থেকে প্রায় ৬৫০ কোটি কিলোমিটার দূর থেকে আজব এক জ্যোতিষ্কের ছবি তুলে পাঠাল মহাকাশযান নিউ হরাইজনস। ২০১৫ সালে প্লুটোর ছবি তুলে পাঠানোর পর অনন্ত মহাকাশের দিকে ছুটে চলেছে যানটি। তারই মধ্যে পথে আল্টিমা থুলি নামে এই জ্যোতিষ্কের পাশ দিয়ে উড়ে যায় যানটি। এই প্রথম এত দূরে কোনও জ্যোতিষ্কের পাশ থেকে উড়ে গেল মানুষের তৈরি কোনও যান। গত ১ জানুয়ারি জ্যোতিষ্কটির পাশ থেকে উড়ে যাওয়ার পর গতকালই পৃথিবীতে এসে পৌঁছেছে প্রথম ছবি। তা দেখে হতবাক জ্যোতির্বিজ্ঞানীরাও।
যে ছবি দেখতে পাচ্ছেন তা আসলে একটি জ্যোতিষ্কের নয়। ডাম্বেলের মতো দেখতে এটি আসলে ২টি জ্যোতিষ্কের। অপেক্ষাকৃত বড় একটি জ্যোতিষ্কের গায়ে লেগে রয়েছে ছোট একটি জ্যোতিষ্ক। জ্যোতির্বিজ্ঞানের ভাষায় এই ধরণের জ্যোতিষ্ককে বলে কনট্যাক্ট বাইনারি সিস্টেম।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, নেপচুনের ওপারে রয়েছে কিউপার বেল্ট নামে অসংখ্য ছোট ছোট গ্রহাণুর একটি বলয়। সৌরজগতের গ্রহগুলি তৈরির পর উচ্ছিষ্টাংশ দিয়ে তৈরি হয়েছে এই অংশ। কিউপার বেল্টের মধ্যে রয়েছে কয়েকটি বামন গ্রহ। তারই একটি প্লুটো। প্লুটো থেকে প্রায় ১০০ কোটি কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আল্টিমা থুলি নামে এই জ্যোতিষ্কটি।
প্রায় ২৯৫ বছরে সূর্যের চারদিকে পাক খায় এই জ্যোতিষ্ক। ঘণ্টায় ৩২,০০০ মাইল বেগে আল্টিমা থুলির থেকে মাত্র ৩৫০০ কিলোমিটার দূর থেকে উড়ে যায় যানটি। সেই সময় গ্রহাণুটির প্রচুর ছবি তুলেছে নিউ হরাইজনসের ক্যামেরা। যা ধীরে ধীরে পৃথিবীতে পাঠাবে সে। কারণ, নিউ হরাইজনস এখন যেখানে রয়েছে সেখান থেকে পৃথিবীতে তড়িত্চুম্বকীয় সংকেত এসে পৌঁছতে সময় লাগে প্রায় ৬ ঘণ্টা। আর যানটি থেকে ডেটা ডাউনলোড হয় ০.৫ Kbps গতিতে।