তামিলনাডুর হতদরিদ্র পরিবার থেকে ব্রিসবেনে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ের শরিক Natarajan
থাঙ্গারসু নটরাজন। তামিলনাডুর চিন্নাপামপাত্তি গ্রামের এঁদো গলি থেকে ব্রিসবেনে টেস্ট অভিষেক। ভারতের ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ের শরিক তিনি।
দিন আনা দিন খাওয়া পরিবার থেকেই ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন নটরাজন। স্বপ্ন দেখেছিলেন দেশের জার্সি গায়ে দিয়ে সাফল্যের ছোঁয়া পেতে। অভিষেকেই পেলেন সেই সাফল্য।
বাবা ছিলেন দিন মজুর। মা রাস্তায় মুরগী বেচতেন। পাঁচ-ভাই বোনের সংসারে থেকেও ক্রিকেট খেলার স্বপ্ন দেখতেন টি নটরাজন।
জার্সি নেই, জুতো নেই। তবুও তাঁর বোলিং তাক লাগিয়ে দিয়েছিল স্থানীয় ক্লাবগুলিকে। গ্রামের রাস্তায় টেনিস বলে ইয়র্কার প্র্যাকটিস করতেন নটরাজন।
দারিদ্র্যকে সঙ্গী করেই কঠোর পরিশ্রমের পুরস্কার পান ২০১৪ সালে। তামিলনাডুর হয়ে খেলার সুযোগ পেয়ে যান তিনি। তাঁকে ক্রিকেটার হিসেবে তৈরি করেন তুলেছিলেন জয়প্রকাশ নাট্টু।
এরপর বদলাতে থাকে নটরাজনের জীবন। আইপিএল-এর সৌজন্যে জীবনে আসে স্বচ্ছ্বলতা। চোটের কারণে প্রথম বছর কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের হয়ে নিজের সেরাটা দিতে পারেননি।
২০২০ সালের আইপিএল-এ সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে সেরাটা তুলে ধরেন ভারতীয় ক্রিকেটের ইয়র্কার সেনসেশন।
আইপিএলে সাফল্য। জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে যান। দুবাই থেকেই অস্ট্রেলিয়ার উড়ান ধরেন নটরাজন। বাকিটা ইতিহাস।
জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক হওয়ার পর থেকেই নজরকাড়া পারফরম্যান্স তামিলনাডুর ২৯ বছর বয়সী পেসার টি নটরাজনের। অস্ট্রেলিয়া সফরে ওয়ান ডে এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে টিম ইন্ডিয়ার জার্সিতে অভিষেক হয়েছে নটরাজনের। সাদা বলের ক্রিকেটে জাতীয় দলের জার্সিতে চার ম্যাচে নেন ৮টি উইকেট।
এরপর নেট বোলার হিসেবে ভারতীয় দলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় থেকে যান নটরাজন। কিন্তু একের পর এক চোট। টেস্ট দলে সুযোগ পেয়ে যান তিনি। গাব্বায় টেস্ট অভিষেক হয় টি নটরাজনের।
টেস্ট অভিষেকে নটরাজন প্রথম ইনিংসে ২৪.২ ওভারে ৭৮ রান দিয়ে নেন তিনটি উইকেট। ব্যাট হাতে এক রানে অপরাজিত থাকেন। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য উইকেট পাননি তিনি।
ব্রিসবেনে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ের শরিক টি নটরাজন। গলি থেকে রাজপথে। সাফল্যের সরণীতে। অস্ট্রেলিয়া সফর শেষে তাই আবেগঘন টুইট করেন তিনি।