National Handloom Day 2024: সুতোয় সুতোয় পুরাণ! উত্সবের ভাবনায় বাংলার মাস্টারপিস বালুচরী...
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: স্বতন্ত্র নান্দনিকতার জন্য বিখ্যাত বালুচরী। এই শাড়ি বাঙালি কারুশিল্পের মাস্টারপিস। প্রাচীন মহাকাব্য, পৌরাণিক কাহিনী এবং লোককাহিনীর জটিল চিত্রে সজ্জিত এর বুনন।
প্রায়শই 'ভারতের সবচেয়ে অত্যাশ্চর্য সিল্ক শাড়ির' মধ্যে সমাদৃত, বালুচরীরা যেন ভাষা। পুরাণের কাহিনি ছত্রে ছত্রে তুলে ধরে। আর এই শাড়িকেই নিজের ছোঁয়া দিয়ে আরও একটু বিশেষ করে তুলতে চেয়ছেন উত্সব গঙ্গোপাধ্যায়।
তাঁর কথায়, কতটা তিনি পেরেছেন জানেন না। তবে বহুদিনের অসমাপ্ত ইচ্ছেপূরণ হয়েছে এই ডিজাইনারের। শাড়ির সঙ্গে মিল রাখতে আমি ভিক্টোরিয়ান যুগে প্রচলিত বা তার আগের সিল্যুয়েট ব্লাউজের সম্ভার।
রামায়ণ-মহাভারতের গল্প বলেছে উত্সবের তৈরি শাড়ি। উত্সব জানায়, বালুচরীতে যে কয়েকটি গল্প বলা হয় (মোটিভের মাধ্যমে) তা সীমিত। সেগুলিকেই নিজের মতো করে সাজিয়েছেন তিনি।
ছয় গজে বোনা প্রতিটি শাড়ি আলাদা আলাদা নির্দিষ্ট চরিত্রদের কাহিনী সামনে এনেছে। ব্লাউজে কখনও সোনালি জরির কাজ কখনও পুরনো অভিজাত মহিলাদের লুক। যেন টাইমমেশিনে অতীতে পৌঁছে যাওয়া।
একসময় মুর্শিদাবাদ জেলার বালুচর গ্রামে ছিল বিখ্যাত তাঁত শিল্প। নবাব আমলে অন্দরমহলের বেগমদের ব্যবহারের জমকালো শাড়ি তৈরি জন্য বালুচরের তাঁত শিল্পীদের কদরও ছিল।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বালুচর গ্রামের সামঞ্জস্য বজায় রেখেই বহুমূল্য সেই শাড়ি পরিচিতি পায় বালুচরী হিসাবে। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে বালুচরী শিল্পের আন্তর্জাতিক জি আই স্বীকৃতি মিলেছিল।