দেখে নিন জেলায় জেলায় কী ভাবে পালিত হচ্ছে বীরসন্ন্যাসী বিবেকানন্দের জন্মদিন...
যেমন উষ্ণ এক উৎসবরে আয়োজন হল আরামবাগে। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিবস উপলক্ষে জাতীয় যুব দিবস পালন করল কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন। সকাল থেকে মঠে বিশেষ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এলাকার বহু মানুষ,ছাত্র ও এনসিসি ক্যাডারদের নিয়ে শুরু হয়েছে শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রায় অংশ নেন মঠের মহারাজরাও। কামারপুকুর মঠ থেকে কামারপুকুর চটি পর্যন্ত এই শোভাযাত্রা হয়।
বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমেও দিনটি পালন করা হচ্ছে। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আজ, বৃহস্পতিবার এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বেরয় জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ আশ্রমের পক্ষ থেকে। জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন পথ ঘুরে রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমেই যাত্রা শেষ করে এটি। বিবেকানন্দের বাণী মাইকিং করে শোনানো হয় শোভাযাত্রায়।
চণ্ডীতলা প্রকৃতির উদ্যোগে নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে দিনটি পালিত হল। চলল পুজোপাঠ। উপস্থিত ছিলেন বেলুড় মঠের এক মহারাজও। তিনি বললেন, শিবজ্ঞানে জীব সেবা শিখিয়ে গিয়েছেন স্বামীজি, সেই কাজই করতে হবে আমাদের।
'প্রকৃতি'র কর্ণধার সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন,বিবেকব্রতী সেবা ট্রাস্টকে সঙ্গে নিয়ে তাঁদের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বিবেক উৎসব পালন করছে এবছর। সকালে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, বিবেকানন্দের বাণীর উপর আলোকপাত করে বক্তব্য, দুঃস্থ মানুষদের শীতবস্ত্র দান, গুণীজনের সম্মাননা ইত্যাদির মধ্যে দিয়ে সারাদিন পালিত হবে বিবেক উৎসব।
চুঁচুড়ার হুগলি জেলা শ্রীরামকৃষ্ণ সেবা সংঘ,ইমামবাজার শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ ভক্ত সংঘ ও প্রবুদ্ধ ভারত সংঘ মিলিত ভাবে দিনটি পালন করছে। বিকানন্দের ভক্ত এবং স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা ইমামবাজার থেকে পদযাত্রা শুরু করে বারোদুয়ারী,পিপুলপাতি, হাসপাতাল রোড হয়ে রথতলায় পৌঁছয়। হুগলি বিনোদিনী বালিকা বিদ্যায়লের শিক্ষক পড়ুয়ারা স্বামীজির জন্মদিন পালন করছে। স্কুলের মাঠ থেকে শুরু করে শহর প্রদক্ষিণ করে তাদের শোভাযাত্রা শেষ হয় ঘুটিয়াবাজার স্কুলে।
স্বামী বিবেকানন্দের ১২ ফুট একটি ব্রোঞ্জের মূর্তিতে মালা দিয়ে স্বামীজির ১৬০ তম জন্মদিবস পালন করলেন বসিরহাটবাসী। আজ বসিরহাট কাছারিপাড়া স্বামীজি সংরক্ষণ রক্ষা কমিটির উদ্যোগে স্বামী বিবেকানন্দের এই মূর্তির পাদদেশে সমবেত হন বসিরহাটবাসী।
স্বামী বিবেকানন্দের ১৬০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আমতলা কৃপারামপুর বিবেকানন্দ মিশন আশ্রমের পক্ষ থেকে আজ প্রভাতফেরির আয়োজন করা হয়েছিল। স্বামী বিবেকানন্দের যে বাণী একদা এদেশে যুবশক্তিকে জাগিয়েছিল, দেশে এনেছিল নবজাগরণের স্রোত, তার কিছু কথা শোনানো হয় সমবেতদের।