Khel Ratna Award: দেখে নিন খেলরত্নের মনোনীত একাদশে রয়েছেন যাঁরা
নিজস্ব প্রতিবেদন: জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার কমিটি বুধবার ১১ জন অ্যাথলিটকে খেলরত্ন ( Major Dhyan Chand Khel Ratna Award) পুরস্কারের জন্য মনোনীত করল। চলতি বছর টোকিও অলিম্পিক্স (Tokyo Olympics 2020) ও প্যারালিম্পিক্সে (Tokyo Paralympics 2020) ভারতের পারফরম্যান্স ছিল সর্বকালের সেরা। অলিম্পিক্স থেকে ৭টি (১টি সোনা, ২টি রুপো ও ৪টি ব্রোঞ্জ) ও প্যারালিম্পিক্স থেকে ১৯টি পদক (৫টি সোনা, ৮টি রুপো ও ৬টি ব্রোঞ্জ) সেই কথা মাথায় রেখেই নীরজ চোপড়া থেকে শুরু করে প্রমোদ ভগতদের বেছে নেওয়া হয়েছে। ৩৫ জনকে মনোনীত করা হয়েছে অর্জুন পুরস্কারের জন্য।
এছাড়াও দেশের সর্বোচ্চ ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন ফুটবল মহাতারকা সুনীল ছেত্রী ও ক্রিকেট আইকন মিতালি রাজ। গত ৬ অগাস্ট রাজীব গান্ধী খেলরত্ন পুরস্কারের নাম বদলে মেজর ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন পুরস্কার করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ১৯৯১-৯২ সাল থেকে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ মন্ত্রক খেলরত্ন পুরস্কার দিয়ে আসছে। প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর নামেই এই পুরস্কারের নামকরণ করা হয়েছিল। খেলরত্ন প্রাপকের হাতে একটি পদক ও মানপত্রের সঙ্গেই তুলে দেওয়া হয় নগদ ২৫ লক্ষ টাকা।
গত ৭ অগাস্ট ভারতবাসীর মুখে হাসি ফোটান নীরজ চোপড়া (Neeraj Chopra)। জ্যাভলিন ছুঁড়ে টোকিও অলিম্পিক্স (Tokyo Olympics 2020) থেকে দেশকে সোনা এনে দেন নীরজ। অভিনব বিন্দ্রার পর নীরজই দ্বিতীয় ভারতীয় যিনি ব্যক্তিগত দক্ষতায় অলিম্পিক্স থেকে সোনা জিতলেন। বিন্দ্রা ২০০৮ সালে বেজিং অলিম্পিক্সে শুটিংয়ে সোনা পান। ১৩ বছর পর ফের কেউ সেই নজির গড়েন। সারা ভারত নীরজের নামে জয়ধ্বনি দিয়েছিল।
টোকিও অলিম্পিক্স (Tokyo Olympics 2020) থেকে ভারতকে রুপো এনে দিয়েছিলেন রবি দাহিয়া। কুস্তির ফাইনালে ৫৭ কেজি বিভাগে রুশ প্রতিপক্ষ জভুর উগুয়েভের কাছে ৭-৪ হেরেই রবিকে রুপোতে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। ভারতের সুশীল কুমারের পর অলিম্পিক্স ফাইনালে এই প্রথম ফের কোনও ভারতীয় হিসেবে খেলেছিলেন রবি।
টোকিও অলিম্পিক্সে (Tokyo Olympics 2020) ইতিহাস লিখে ব্রোঞ্জ জিতেছিল ভারতীয় হকি দল (Indian Hockey Team)। মনপ্রীতের সিংয়ের স্কোয়াডে অলিম্পিক্সে শ্রীজেশ ঝলসে উঠেছিলেন। কোচির বছর পঁয়ত্রিশের গোলকিপারের অসাধারণ কিছু সেভেই ভারত সেমিফাইনালে উঠেছিল। তাঁর বিশ্বস্ত স্টিক প্রতিপক্ষের বহু আক্রমণ অনায়াসে বানচাল করে দিয়েছিল। শ্রীজেশকে কেউ 'দ্য বস' বা কেউ 'দ্য ওয়াল' বলা শুরু করেন।
পড়শি রাজ্য অসমের গোলাঘাট জেলার বারোমুখিয়া গ্রামের এই মেয়ে লভলিনা বড়গোহাঁই (Lovlina Borgohain)। ভারতের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। বক্সিংয়ে ওয়েল্টারওয়েট বিভাগে দেশের জন্য ব্রোঞ্জ নিয়ে আসেন তিনি। মেরি কমের পর দ্বিতীয় মহিলা বক্সার হিসেবে ভারতকে বক্সিংয়ে পদক এনে দেন লভলনিা। বক্সিংয়ে ভারতে প্রথম পদকটি এসেছিল বিজেন্দ্র সিং হাত ধরে। ন'বছর পর ভারতের অলিম্পিক্স পদক আসে সেই বক্সিং থেকে। মেরি এবং বিজেন্দ্রর ঝুলিতেও এসেছিল ব্রোঞ্জ।
দেখতে দেখতে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ১৬ বছর কাটিয়ে ফেললেন সুনীল ছেত্রী (Sunil Chhetri)। ২০০৫ সালের ১২ জুন চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দেশের জার্সিতে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে অভিষেক করেছিলেন ২০ বছরের সুনীল। দলের তারকা স্ট্রাইকার বাইচুং ভুটিয়া (Bhaichung Bhutia) চোট পাওয়ায় কোচ সুখবিন্দর সিং দল গোছাতে নিদ্রাহীন রাত কাটিয়ে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত সুনীলকে নিয়েই তিনি দল সাজিয়ে ছিলেন। সাদা জার্সিতে কুয়েতায় নেমেই ম্যাচে ছাপ রাখেন সুনীল। করেন গোল। আর সেদিনের সুনীল আজ ভারত অধিনায়ক। দেশের জার্সিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলে সর্বোচ্চ গোলদাতা 'ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাস্টিক'।
মিতালি আজ ভারতেরই নয়, বিশ্বের মহিলা ক্রিকেটের আইকন তিনি। ভারতীয় ক্যাপ্টেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একাধিক রেকর্ড করে নিজেই একটা ব্র্যান্ড হয়ে গিয়েছেন। মিতালির বায়োপিকও তৈরি হচ্ছে। সৃজিত মুখোপাধ্যায় (Srijit Mukherji) পরিচালিত মিতালি রাজের বায়োপিকে ('সাবাশ মিঠু') মিতালির ভূমিকায় অভিনয় করছেন তাপসী পান্নু (Taapsee Pannu)
টোকিও প্যারালিম্পিক্স (Tokyo Paralympics 2020) থেকে ভারতকে ব্যাডমিন্টনে সোনা এনে দেন প্রমোদ ভগত (Pramod Bhagat)
প্যারালিম্পিক্সে (Tokyo Paralympics 2020) জ্যাভলিন ছুড়ে দেশকে সোনা এনে দেন সুমিত আন্তিল (Sumit Antil)।
প্যারালিম্পিক্সে (Tokyo Paralympics 2020) শুটিংয়ে দেশকে সোনা এনে দেন অবনী লেখারা। ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে সোনা জেতেন তিনি।
টোকিও প্যারালিম্পিক্সের (Tokyo Paralympics 2020) শেষ দিনে ভারতকে ব্যাডমিন্টনে সোনা এনে দেন কৃষ্ণ নাগার।
টোকিও প্যারালিম্পিক্সের (Tokyo Paralympics 2020) মিক্সড পিস্তল ইভেন্টের সোনা জেতেন মণীশ।