Return of the Tigers: বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ, কিন্তু আনন্দের খবরেও উদ্বেগেই নেপাল...
বাঘ বাড়লে একই সঙ্গে আনন্দ ও উদ্বেগের বিষয়টি ঠিক কেমন? নেপালে বাঘ রক্ষার একটি সংগঠনের নেতা আয়ুশ জং বাহাদুর রানা। তিনি খুব সুন্দর করে এই অনুভূতিটার একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন। বলেছেন, বাঘের মুখোমুখি হলে দুরকমের অনুভূতি হয়। একটি হচ্ছে, কী অসাধারণ সৃষ্টি এই জীবটি! আর অন্যটি হচ্ছে, এই বুঝি এবার আমার প্রাণ গেল!
নেপালের তরাই অঞ্চলের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে সুরক্ষিত জাতীয় উদ্যান হল বারদিয়ার সমভূমি এবং ঘন ঝোপ। সেখানেই সশস্ত্র টহল দেন বাঘরক্ষা সংগঠনের নেতা আয়ুশ জং বাহাদুর রানা । প্রায়ই বেঙ্গল টাইগার তাঁর সামনে পড়ে।
নেপালের 'জিরো-পোচিং' পদ্ধতি আসলে বাঘ রক্ষায় কাজে এসেছে। দেশটির সামরিক বাহিনীও জাতীয় উদ্যানে বাঘ রক্ষায় কাজ করা এই ধরনের দলগুলিকে সহায়তা করে। অ্যান্টি-পোচিং ইউনিটগুলি অভয়ারণ্যের প্রবেশদ্বারগুলি পর্যবেক্ষণ করে, যে কারণে বাঘ নিরাপদে ঘোরাফেরা করতে পারে সেখানে।
উদ্যানের এমন একটি অংশ 'খাতা করিডর' নামে পরিচিত। এটি বারদিয়া জাতীয় উদ্যানকে ভারতের সীমান্তের কাতারনিয়াঘাট বন্য প্রাণী অভয়ারণ্যের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। কিন্তু ওই এলাকা দিয়ে বাঘের প্রত্যাবর্তন উদ্যানের সীমান্তবর্তী এলাকায় বাস করা মানুষের জন্য ঝুঁকি তৈরি করেছে।
গ্রামবাসী গবাদিপশু চরাতে বা ফল, মাশরুম এবং কাঠ সংগ্রহ করতে জাতীয় উদ্যান বা অভয়ারণ্যে অবস্থান করার সময় বেশির ভাগ হামলার শিকার হয়েছেন। অনেক সময় দেখা গেছে, বাঘ উদ্যান থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে হামলা চালিয়েছে। এসব গ্রামে বন্য প্রাণী প্রবেশে বাধার জন্য বেড়া দেওয়া থাকলেও শিকারি পশু সহজেই বেড়া পেরিয়ে যেতে পারে।
গত ১২ মাসে নেপালে বাঘের আক্রমণে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগের পাঁচ বছরে সব মিলিয়ে এ সংখ্যা ছিল ১০।