`বুঝতে পারিনা, কেন আক্রমণ করা হয়েছিল`, সন্তানকে স্তন্যপান ছবি পোস্ট করে জবাব Celina-র
ফেসবুক ফিরিয়ে দিয়েছে ৯ বছর আগের স্মৃতি। তবে সেই সুন্দর স্মৃতির সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে একটি ক্ষত, যেকথা মনে পড়লেই সুন্দর সময়েও মনটা খারাপই হয়ে যায় অভিনেত্রী সেলিনা জেটলির। বৃহস্পতিবার সেটা নিয়েই ফের একবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হলেন সেলিনা।
৯ বছর আগের একটি ছবি, সেসময় সেলিনার প্রথম দুই যমজ সন্তান উইনস্টন, আর বিরাজের বয়স মাত্র ১ মাস। স্টারডাস্ট ম্যাগজিনের কভারে উঠে এসেছিল সেই ছবি। যার জেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছিল সেলিনাকে। কথা শুনতে হয়েছিল, স্টারডাস্ট ম্যাগজিনের তৎকালীন সম্পদক রামকমল মুখোপাধ্যায়কেও।
তিক্ত সেই স্মৃতি প্রসঙ্গে ইনস্টাগ্রামে ক্ষোভ উগরে দিয়ে লম্বা একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন সেলিনা জেটলি। লিখেছেন, ''সেসময় আমার মনে হয়েছিল, জীবনের সবথেকে সুন্দর মুহূর্ত কাটাচ্ছি। অথচ তখনই আমাকে তীব্র আক্রমণের মুখে পড়তে হয়।'' ''সন্তানদের অযত্ন করা হচ্ছে, আপনি কীভাবে এমন ফিগার পেতে পারেন?'' এমনই নানান কথা শুনতে হয়েছিল সেলিনাকে।
সেলিনা লিখেছেন, ''সেসময় আমার দুই যমজ সন্তানের বয়স মাত্র ১ মাস। আমিও সি-সেকশনের কষ্ট থেকে সবে সেরে উঠেছি। দুবাইয়ের পুলসাইডে দুই সন্তানকে নিয়ে সময় কাটাচ্ছিলাম। আমার দুই ছেলেও সুন্দর পরিবেশে তখন হাত-পা ছুঁড়ে খেলা করছে। আমি এখনও বুঝতে পারি না এমন ছবির জন্য কেন আমায় ট্রোল হতে হয়েছিল।!''
ট্রোলারদের অত্যাচারে বিরক্ত সেলিনা লিখেছেন, ''আপনাকে সুন্দর দেখতে লাগলেও ট্রোল করবে, ওজন বাড়লেও ট্রোল হতে হবে। আবার বাচ্চারা যদি সুন্দরভাবে হাত-পা ছুঁড়ে খেলা করে, তাহলে বলা হবে তাদের অবহেলা করা হচ্ছে। আসলে মায়েদের সমালোচনা করাটা খুবই সহজ।''
সেলিনা লিখেছেন অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন তাঁর ডায়াবেটিস ধরা পড়েছিল, তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো তিনি কড়া ডায়েটে চলেছিলেন এবং নিয়মিত শরীরচর্চা করেছিলেন। তবে সন্তানদের জন্মের আগে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেন।
সেলিনা আরও লিখেছেন, ডাক্তারের সন্দেহ ছিল যমজদের সন্তানদের একজনের পায়ে ডিসপ্লেসিয়া হয়েছে। আর তাই জন্মের পর যাতে আমার সন্তান আবাধে হাত-পা ছুঁড়ে খেলতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতাম। আর সেকারণেই ওকে পাশে শুইয়ে রাখা হয়েছিল। আর তাতেই অনেকের মনে হল শিশুকে অবহেলা করা হচ্ছে।
নেটিজেনদের উদ্দেশ্যে অভিনেত্রীর পরামর্শ, ''কারোর বিচার করার আগে খেয়াল রাখবেন, কোনও ঘটনার পিছনে কোনও কারণ থাকতেই পারে। আমি কোনও দিনই মা হওয়ার আনন্দ থেকে নিজেকে বঞ্চিত রাখিনি। আর সকলের মনে রাখা উচিত নিখঁত মা হওয়ার নির্দিষ্ট কোনও উপায় হয় না।''