ডিএসপি দাবিন্দরের সঙ্গে হিজবুল মুজাহিদিনের আর্থিক লেনদেন! কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় হানা এনআইএ-র

Sat, 08 Aug 2020-5:45 pm,

ষড়যন্ত্রের শিকড় অনেক গভীরে। কাশ্মীরের ধৃত ডিএসপি দাবিন্দর সিংয়ের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের আর্থিক লেনদেন রয়েছে বলে সন্দেহ করছে এনআইএ।  শনিবার এনিয়ে কাশ্মীরের একাধিক জায়গায় হানা দিল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা।

কে এই দেবিন্দর সিং? গত বছর জানুয়ারি মাসে নিরাপত্তা বাহিনীর জালে পড়ে যান দেবিন্দর সিং। জম্মু-কাশ্মীর হাইওয়েতে তাঁর গাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় হিজবুল মুজাহিদিনের ২ জঙ্গি নাভেদ বাবু ও রফি আহমেদ রাথারকে। শুধু তাই নয় তাঁর গাড়ি থেকে গ্রেনেডও উদ্ধার করা হয়। সে সময় দেবিন্দর জানিয়েছিলেন, তিনি ওই ২ জঙ্গিকে জম্মু নিয়ে যাচ্ছিলেন আত্মসমর্পণ করানোর জন্য। কিন্তু তাঁর ওই যুক্তি ধোপে টেকেনি। কারণ তাঁকে আগে থেকেই ফলো করছিল নিরাপত্তা বাহিনী।

সে সময়ে পুলিসের তদন্ত উঠে এসেছিল, দেবিন্দরের গাড়িতে থাকা দুই জঙ্গি পাকিস্তান পালানোর ছক করছিল। তাদের সাহায্য করছিলেন দেবিন্দার সিং।

জঙ্গি ও অস্ত্র পাচারের অভিযোগে কয়েক মাস আগেই দেবিন্দার সিং-সহ মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে এনআইএ। তালিকায় দেবিন্দর সিং ছাড়াও রয়েছে নাভেদ মুস্তাক, ইরফান সফি, রফি রাথার, তনবীর আহমেদ ওয়ান ও সৈয়দ ইরফান কাশ্মীরের ৫ বাসিন্দা। শুধু তাই নয়, জঙ্গিদের সাহায্য করার জন্য রীতিমতো আর্থিক লেনদেনও দেবিন্দরের ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।

এনআইএ-র দাবি,  পাক সরকার ও হিজবুল মুজাহিদিনের সঙ্গে মিলে দেশ হিংসা ছড়ানোর পরিকল্পনা করেছিলেন দেবিন্দর সিং। ভারতের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাকিস্তানে পাচার করার জন্য দেবিন্দরকে কাজে লাগানো হয়েছিল। জম্মু-কাশ্মীর হাইওয়েতে যে সময় দেবিন্দার সিং গ্রেফতার হন সেসময় তিনি ছিলেন, কাশ্মীর বিমানবন্দরের অ্যান্টি হাইজ্যাকিং উইংয়ের প্রধান।

 

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link