Kalyan Mankoti: নেই ইন্টারনেট কিংবা উন্নত ব্যবস্থা, প্রত্যন্ত গ্রামকেই স্কুল বানিয়েছেন এই শিক্ষক
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা অতিমারিতে ত্রস্ত গোটা বিশ্ব। ঘরবন্দি হয়েছে সাধারণ মানুষ। বন্ধ স্কুল-কলেজ। এই পরিস্থিতিতে এমন অনেক মানুষ রয়েছেন, যাঁরা অসহায়দের সহায় হয়ে উঠেছেন। তাঁদেরই একজন উত্তরাখণ্ডের বাগেশ্বর জেলার বাসিন্দা, পেশায় শিক্ষক কল্যাণ মানকোটি (Kalyan Mankoti)।
সাধারণত নিজের গ্রাম থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে ছালোনি গ্রামে একটি স্কুলে পড়াতে যেতেন কল্যাণ মানকোটি (Kalyan Mankoti)। তবে করোনা অতিমারিতে বন্ধ হয়ে যায় স্কুল। কিন্তু তাতেও দমে যাননি মানুষটি। অতিমারিতেই নিজের মেয়েকে নিয়ে ওই গ্রামেই থাকতে করতে শুরু করেন তিনি। স্কুল বন্ধ থাকলেও গ্রামের ৭৫ জন পড়ুয়ার বাড়ির দরজা পর্যন্ত শিক্ষাকে পৌঁছে দেন কল্যাণ মানকোটি (Kalyan Mankoti)।
শহুরে কল্যাণ মানকোটি (Kalyan Mankoti) এবং তাঁর মেয়ের পক্ষে লকডাউনে গ্রাম্য জীবনে মানিয়ে নেওয়াটা মোটেই সহজ ছিল না। তার উপর প্রশাসনের নিয়মবিধি। তবে জেলা প্রশাসন, শিক্ষা দফতর এবং স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে কথা বলে সেই অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলেন তিনি। একই সঙ্গে স্থানীয় মানুষকেও শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কেও বোঝান। অবশেষে, মাস্ক, ওষুধ এবং স্য়ানিটাইজেশন নিয়ে নিজের উদ্য়োগকে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
কল্যাণ মানকোটি (Kalyan Mankoti) বলেন, "বৃষ্টি হলে পড়াতে বেশি অসুবিধা হত। তবে একটা খালি বাড়ি আমাদের কাজ অনেকটা সহজ করে দিয়েছিল। বৃষ্টিতে ওখানেই পড়াতাম। ধীরে ধীরে ওটাই আমাদের ক্লাস রুম হয়ে উঠল।" তিনি আরও বলেন, "দ্রুত আমার এই প্রচেষ্টার কথা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ঋষিকেশ, পৌরি, নৈনিতাল থেকেও শিক্ষকরা আমাকে সাহায্য করতে শুরু করেন। এমনকী, তাঁরাও নিজেদের এলাকায় এই মডেল ব্যবহার করতে শুরু করেন।"
প্রথমে নিজের উদ্যোগে এই শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছিলেন কল্যাণ মানকোটি (Kalyan Mankoti)। এরপর তাতে যোগ দেন তাঁর মেয়ে। ধীরে ধীরে তাঁর প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরাও এই উদ্য়োগে সামিল হন। তাঁদের কেউ হয়ত ছানোলি গ্রামের। কেউ আবার অন্য গ্রাম থেকে মাঝে মধ্যে সেখানে আসতেন।
প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের শরীরচর্চা, পরিবেশ সম্পর্কে শিক্ষাও দিতেন কল্যাণ মানকোটি (Kalyan Mankoti)। এছাড়া করোনাবিধি সম্পর্কেও তাঁদের বোঝান হত।