সিংহাসনের শাপ? মেয়াদ পূর্ণের আগেই পদ ছাড়তে হয়েছে পাক প্রধানমন্ত্রীদের
কোনও একদিনের ঘটনা নয়৷ ইতিহাস এমনটাই বলছে। ক্ষমতা পরিবর্তনের এমন পট কোন দেশে সচরাচর দেখা যায় না। কিন্তু পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সিংহাসনের ইতিহাসের গল্প এমনটাই৷
ইসলামিক দেশটির ইতিহাসে এমন কখনই হয়নি যে কোনও পাক প্রধানমন্ত্রী তার মেয়াদ সম্পূর্ণ করতে পেরেছেন। বরং উল্টোটাই হয়েছে। মেয়াদ শেষের আগেই চেয়ার ছাড়তে হয়েছে তাদের।
১৯৫১ থেকে ১৯৫৬ এই পাঁচ বছরের ব্যবধানে চার বার প্রধানমন্ত্রী বদল হয়েছিল সে দেশে৷ এরপর জুলফিকর আলি ভুট্টোর মৃত্যুর পর সামরিক শাসনেও ছিল পাকিস্তান।
এছাড়াও মেয়াদ চলাকালীন তিন পাক প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতেও সেই ইতিহাসই থেকে যায়-সময় শেষের আগেই পদ ছাড়ার। জুলফিকর আলি ভুট্টোর পর তার কন্যা বেনজির ভুট্টো, যিনি পাকিস্তানের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাকে হত্যার পরও শূন্য হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী পদ।
এর আগে মহম্মদ আয়ুব খানের সময় প্রধানমন্ত্রীর পদ বিলুপ্ত করা হয়েছিল। বদলে গিয়েছিল সংবিধানও। ২০২০ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ৭ বার প্রধানমন্ত্রী পদে বদল হয়েছিল। সবচেয়ে বেশি সময় ধরে ছিলেন ইউসুফ রাজা গিলানি।
নওয়াজ শরিফ ও ইমরান খান দুজনেই চার বছর পূর্ণ করেছেন। মেয়াদ শেষের আগেই ছাড়তে হয়েছে পদ। নওয়াজ শরিফের সামনে ইতিহাস বদলের সুযোগ থাকলেও পানামা পেপার্স মামলার বিচার শুরু হওয়ার পরে পদত্যাগ করেছেন। ফলে ইতিহাসে বদল আনতে পারেননি।
ইমরান খানের সামনে সে সুযোগ থাকলেও তিনিও পারলেন না ইতিহাসে বদল আনতে। বরং ইতিহাসের সাক্ষী হয়েই থেকে যেতে হচ্ছে 'ইয়র্কার স্পেশালিস্ট'কে। পাকিস্তানের দায়িত্বভার এখন কার হাতে যাচ্ছে সেদিকেই তাকিয়ে বিশ্ব।