জল বাড়ছে তিস্তা-জলঢাকায়, জারি হলুদ সতর্কতা... প্রবল বৃষ্টিতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বাড়ি!
অরূপ বসাক ও প্রদ্যুৎ দাস: প্রবল বৃষ্টি মালবাজার, জলপাইগুড়িতে। বৃষ্টির কারণে ভেঙে পড়ল গোটা একটা বাড়ি। মাল ব্লকের বাগ্রাকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগ্রাকোট গ্রামের আশ্রম লাইনের ঘটনা। চা-বাগানের বাড়িতেই থাকতেন নির্মাইত ওড়াও এবং ওনার ছেলে মুন্না ওঁরাও (৩৮) ও মেয়ে সাবিত্রী ওঁরাও (৩০)।
ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িটির বাসিন্দা মুন্না ওঁরাও-সাবিত্রী ওঁরাও বলেন, রাতে দিকে বৃষ্টি বাড়তেই বাড়ির চারদিকে কড়মড় শব্দ হতে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যে গোটা বাড়িটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পরে। ঘরের ভিতরে থাকা কোনও জিনিস বাঁচাতে পারিনি। সব নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এই এলাকায় চা-বাগানের সমস্ত কোয়ার্টারগুলিরই হাল খারাপ। যখন তখন অন্যান্য কোয়ার্টারগুলোও ভেঙে পড়তে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দা বিবেকপানি লাকড়া বলেন, বাগ্রাকোট চা-বাগানের শ্রমিক আবাসগুলো ব্রিটিশ আমলে তৈরি। এত বছর হয়ে গেলেও কোনও মেরামতি হয়নি। গত কয়েকদিন ধরেই খুব বৃষ্টি হচ্ছে এলাকায়। এই পরিস্থিতিতে রাতের দিকে ঘরটি দুলতে থাকে। সেই সময় বাড়ির লোকজন অন্য বাড়িতে চলে যায়। এরপর রাত বাড়তেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে গোটা বাড়িটি।
ওদিকে রাতভর পাহাড় ও সমতলে অবিরাম বৃষ্টিতে তিস্তা ও জলঢাকা নদীতে জারি করা হল হলুদ সর্তকতা। জলঢাকা নদীতে এনএইচ ৩১-এ দোমোহনি থেকে বাংলাদেশ বর্ডার পর্যন্ত অসুরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করেছে জলপাইগুড়ি সেচ দফতর। জল বাড়ছে তিস্তায়।
রাতভর টানা বৃষ্টির পর সোমবার সকাল থেকে বৃষ্টিতে নাজেহাল জেলাবাসী। ভারী বৃষ্টিতে এদিন সকালে জলপাইগুড়ি শহরের আনন্দচন্দ্র কলেজ সংলগ্ন এলাকায় জলপাইগুড়ি-শিলিগুড়িগামী রাস্তার উপরে ভেঙে পড়ে বিশাল আকার গাছের ডাল। বিদ্যুতের তারও ছিঁড়ে পড়ে রাস্তার উপর। ফলে যান চলাচল দীর্ঘক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায়।
খবর পেয়ে ছুটে আসেন বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় রাস্তা পরিষ্কারের কাজ। তবে প্রবল বৃষ্টিতে জল বাড়ছে তিস্তায়, ফলে উদ্বেগও বাড়ছে।