ডাকের সাজ, ঠাকুরদালান, ঝাড়বাতিতে `মায়ের ভুবন`
ঠাকুরদালানে যেতে হবে যে পথ ধরে তার পাশের থামেও আছে আলো। যেন পুরনো দিনের গ্যাসের আলোর ধাঁচ। সেই পথ ধরেই ধীরে ধীরে মায়ের কাছে পৌঁছে যাওয়া। হয়তো সেখানেই একমুঠো শিউলির গন্ধ, কয়েকবিন্দু শিশিরের স্নিগ্ধতা, মাঠ-ভরা কাশের দীপ্তি!
গোটা মণ্ডপ জুড়ে ওই পুরনো জমিদারবাড়ির আদলটা বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার জন্য আলোর সাজের মধ্যে এসেছে সূক্ষ্মতা। দু'টি আলোর বাল্বের মধ্যে দিয়ে প্রতিমাকে দেখলে যেন মনে হয়, দু'পাশে জ্বলা দু'টি প্রদীপের মধ্যে দিয়ে দেখছি মাতৃমূর্তিকে।
সাবেকি একচালার প্রতিমা। ডাকের সাজ। ঠিক যেমনটি এই জাঁকালো বনেদিয়ানার সঙ্গে যায়, তেমনই। ঘোড়া-আকৃতির সিংহ এবং সবুজ-রঙা অসুর মানেই তো পুরনো ধাঁচের প্রতিমার মেজাজ।
ঝাড়বাতিই যেন গোটা মণ্ডপের ভরকেন্দ্র। সেখানেই যেন মণ্ডপের ভিতরের কথা সব বলা আছে আর তা আলো হয়ে ফুটে উঠছে মুহূর্তে-মুহূর্তে। মায়ের মুখে ঠিকরে পড়ছে সেই বাঙ্ময় আলোর কণা।
জমিদারবাড়ির আদলে মণ্ডপ। প্রাসাদের মতো একটা 'গ্র্যান্ড অ্যাম্বিয়েন্স' সেখানে সদা বিরাজমান। আলোর অপূর্ব ব্যবহার গোটা মণ্ডপ জুড়ে। হালকা কমলা রঙ আর নকশাদার নানা ইনস্টলমেন্টে একটা বনেদি মেজাজ গোটা বিষয়টার মধ্যে অন্যরকম এক দ্যুতি ছড়িয়ে দিচ্ছে।