Omicorn First Image: কেমন দেখতে করোনার নয়া ভ্যারিয়ান্ট? প্রথম ছবিতে কী কী তথ্য উঠে এল
নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশ্বের কাছে নয়া ত্রাসের নাম এখন 'Omicorn'। করোনার এই নয়া স্ট্রেইনের প্রথম ছবি প্রকাশ করলেন ইটালীয় গবেষকরা। মিলানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাম্বিনো গেসু রিসার্চ গ্রুপের গবেষকরা এই ছবি প্রকাশ করেছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) আগেই জানিয়েছিল যে করোনার এই নয়া স্ট্রেইন B.1.1.529 ইতিমধ্যেই ৫০ বার তার মিউটেশন ঘটিয়েছে। ইটালীয় গবেষকদের প্রকাশ করা ওমিক্রনের ছবিতে স্পষ্ট ধরা পড়েছে সেটি।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ভাইরাসের যে অংশ মানব শরীরে সংক্রমণ ঘটায়, সেখানেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যকবার মিউটেশন হয়েছে। অর্থাত্ করোনাভাইরাসের স্পাইক- যা দিয়ে মানব কোষের ভিতরে প্রবেশ করে ভাইরাসটি এবং কোষের দখল নেয়।
ছবিতে আরও দেখা যাচ্ছে যে, আদি SARS CoV-2 ভাইরাসের স্পাইকের পরিপ্রেক্ষিতে 'Omicorn' ভ্যারিয়ান্টের ক্ষেত্রে স্পাইক প্রোটিনের অবস্থিতি ডানদিকে। যেখানে ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টের ক্ষেত্রে সেটি ছিল বাঁদিকে।
পাশাপাশি, ছবি প্রকাশ করে গবেষকরা জানিয়েছেন যে, লাল রঙে চিহ্নিত অংশগুলি 'খুব বেশি পরিবর্তনশীল', কমলা রঙে চিহ্নিত অংশগুলি 'বেশি পরিবর্তনশীল', হলুদ রঙের জায়গাগুলো 'মাঝারি পরিবর্তনশীল', সবুজ ও সেলেস্টিয়াল (Celestial) অংশগুলো 'কম পরিবর্তনশীল'। আর ধূসর এলাকার কোনও পরিবর্তন নেই।
তবে গবেষকরা এও বলছেন, এখন এর মানে এই নয় যে ক্রমাগত নিজের গঠনগত 'ভ্যারিয়েশন' বা 'পরিবর্তন' ঘটিয়ে তা মানব শরীরের পক্ষে আরও বেশি বিপজ্জনক হয়ে উঠবে! আসলে এভাবে পরিবর্তন ঘটিয়ে ভাইরাসটি মানব শরীরে বারে বারে আক্রমণ ঘটানোর ক্ষমতা অর্জন করে চলেছে।
এবার আরও বিস্তারিত গবেষণা-ই বলবে যে, ভাইরাসের কোন অভিযোজন (adaptation)-টি বেশি বিপজ্জনক হবে বা কম বিপজ্জনক হবে বা নিউট্রাল হবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৪ নভেম্বর প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকায় এই 'B.1.1.529' ভ্যারিয়ান্টের খোঁজ মেলে। তারপর কয়েকদিনের মধ্যেই করোনার এই নয়া স্ট্রেইন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেমন ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, হংকং ও ইজরায়েলে ছড়িয়ে পড়েছে।