সে কী! বিরাট কোহলির উপরও অফিসের চাপ! ভারতীয় অধিনায়ককে নির্দেশ ওএনজিসির
চাকরি মানেই তো চাপ। তাই না? তা সে হোক না বিরাট কোহলি! দেশের ক্রিকেট ক্যাপ্টেন। তাঁরও কিন্তু অফিসের চাপ রয়েছে। অফিসের নির্দেশ মেনে চলতে হয় তাঁকেও। আর না মানলে জোটে বস-এর চোখরাঙানি।
স্পনসরদের লোগে থাকছে। কিন্তু কোথাও ওএনজিসি-র লোগে দেখা যাচ্ছে না। এবার এই ব্যাপারে কঠিন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে অয়েল অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস কমিশন।
বিরাট কোহলি ছাড়াও গৌতম গম্ভীর, ইশান্ত শর্মা, প্রবীণ কুমার, মুনাফ প্যাটেলের মতো ক্রিকেটাররা ওএনজিসি-তে সাম্মানিক পদে রয়েছেন। এছাড়াও হিমা দাস, হিনা সিন্ধু, পঙ্কজ আডবানির মতো তারকারাও রয়েছেন।
দেশের মোট ১৭৯ জন এলিট ক্লাস অ্যাথলিট ওএনজিসি-র বিভিন্ন সাম্মানিক পদে চাকরি করেন।
ওএনজিসি-র বক্তব্য, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্রীড়াবিদরা ব্যক্তিগত স্পনসরদের প্রচারে বেশি সময় ও গুরুত্ব দিচ্ছেন। কিন্তু তাঁরা যে সংস্থায় সাম্মানিক পদে চাকরি করেন তার কথা ভুলেও উচ্চারণ করছেন না।
বিরাট কোহলিসহ ১৭৯জন অ্যাথলিট ওএনজিসি-র কোনও না কোনও সাম্মানিক পদে রয়েছেন। তাঁদের প্রত্যেককে ওএনজিসি-র তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা যেন জার্সিতে ওএনজিসির লোগো লাগিয়ে খেলতে নামেন।
ওএনজিসি গ্রুপের জিএম মনোজ ভার্টওয়াল বলছিলেন, ''বিরাট কোহলি ছাড়াও আমাদের সঙ্গে যুক্ত অনেক ক্রীড়াবিদ রয়েছে। তাঁদের মধ্যে অনেকে এশিয়ান গেমসে পদক জিতেছে। কিন্তু কোথাও কখনও ওএনজিসি-র নাম উচ্চারণ করেনি। এদিকে, ওএনজিসি সব সময় তাঁদের পাশে থেকেছে। তাই আমরা বিরাট কোহলিসহ ১৭৯জন অ্যাথলিটকে বলব, ওরা সবাই যেন কোনও ইন্টারভিউ বা কোনও বক্তব্যের সময় ওএনজিসি-র নাম উচ্চারণ করে। যে ব্র্যান্ডের হয়ে ওরা চাকরি করছে তার প্রচার করাটাও প্রয়োজন। আমরা খুব তাড়াতাড়ি একটা সভা করব। সেখানে বিরাটদের ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলা হবে।''