পাঁচ বছরে মাত্র ২৯ দিন সংসদে ছিলেন দেব, প্রশ্ন করেছেন তিনটি
ADR, অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস। আমেদাবাদের IIM-এর অধ্যাপকদের তৈরি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তারা সম্প্রতি প্রকাশ করেছে সাংসদের পারফরম্যান্স রিপোর্ট।
সেই রিপোর্টেই রয়েছে বাংলার তৃণমূল সাংসদদের পারফরম্যান্সের হিসেব-নিকেশ। আর তাতেই দেখা যাচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের সাংসদ দেব মাত্র ২৯ দিন সংসদে উপস্থিত থেকেছেন।
সংসদে দেবের প্রশ্নের সংখ্যাও খুব বেশি নয়। তিনি মাত্র তিনটি প্রশ্ন করেছেন।
উপস্থিতির নিরিখে শীর্ষ স্থানে রয়েছেন দমদমের সাংসদ সৌগত রায়। তিনি উপস্থিত ছিলেন ২৮২ দিন।
দ্বিতীয় স্থানে রানাঘাটের সাংসদ তাপস মণ্ডল। তিনি ২৭৯ দিন সংসদে উপস্থিত ছিলেন। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাংসদ মমতাজ সঙ্ঘমিতা। তিনি ২৬৮ দিন সংসদে উপস্থিত থেকেছেন।
তৃণমূল সাংসদদের মধ্যে সবচেয়ে কমদিন উপস্থিত থেকেছেন ঘাটালের সাংসদ দেব ও উলুবেড়িয়ার সাংসদ সাজদা আহমেদ। তাঁরা দুজনেই ২৯ দিন করে সংসদে হাজিরা দিয়েছেন।
ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সংসদে ৯৩ দিন উপস্থিত ছিলেন। তিনি ৪৮টি প্রশ্ন করেছেন।
প্রশ্ন করার নিরিখে তৃণমূলের প্রথম তিনটি নাম হল দমদমের সাংসদ সৌগত রায় (৫৭২), বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডল (৩২৭) ও হুগলির সাংসদ রত্না দে নাগ।
তৃণমূলের বেশ কয়েকজন সাংসদ লোকসভায় কোনও প্রশ্নই করেননি। সেই তালিকায় রয়েছেন, ঝাড়গ্রামের উমা সরেন, জলপাইগুড়ির বিজয় বর্মন, মথুরাপুরের চৌধুরি মোহন জাটুয়া, আলিপুরদুয়ারের দশরথ তিরকে, কলকাতা দক্ষিণের সুব্রত বক্সি, কলকাতা উত্তরের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঁকুড়ার মুনমুন সেন, বনগাঁর মমতা ঠাকুর ও মেদিনীপুরের সন্ধ্যা রায়।
শতাব্দী রায় করেছেন মাত্র দুটি প্রশ্ন, শিশির অধিকারী ও সুগত বোস মাত্র তিনটি করে প্রশ্ন করেছেন। দেবেরও প্রশ্নের সংখ্যা মাত্র তিন।